প্রতিবাদ: দিনহাটা থানায় বিক্ষোভে উদয়ন। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকে দিনহাটায় তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন— এই অভিযোগ তুলে শনিবার বেলা সাড়ে দশটায় সাহেবগঞ্জ থানায় অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন এলাকার বিধায়ক উদয়ন গুহ। দিনহাটার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা উদয়নবাবু পুলিশের কাছে বিজেপির সন্ত্রাস নিয়ে অভিযোগ জানানোয় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। গেরুয়া শিবিরের তরফে তৃণমূলের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, তৃণমূল নিজেরাই সন্ত্রাস করে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ তৃণমূল নেতৃত্বকে আশ্বস্ত করার পরে দুপুর দেড়টা নাগাদ তাঁরা অবস্থান তোলেন।
কোচবিহারের বিজেপি সাংসদের খাসতালুক দিনহাটা। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই এখানে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চলছে। সে সবের পিছনে বিজেপি রয়েছে বলেই তাঁদের দাবি। ‘বিজেপির সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তৃণমূল নেতারা প্রশ্ন তোলেন। এ দিনের অবস্থান বিক্ষোভে এই নিয়েই সরব হন তাঁরা। সেখানে উদয়নের সঙ্গে ছিলেন দিনহাটা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বীরেন্দ্র বর্মণ, সহ-সভাপতি অতুল সরকার, বড়শাকদল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস দাস, শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিষ্ণু সরকার প্রমুখ। তবে লক্ষণীয় অনুপস্থিতি ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি মীর হুমায়ুন কবীর ও তাঁর অনুগামীদের। হুমায়ুন অবশ্য বলেন, ‘‘চিকিৎসা করে এ দিন দুপুরে বাড়ি ফিরি। তাই যেতে পারিনি।’’
বিজেপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাহেবগঞ্জ থানায় অবস্থান বিক্ষোভের এই কর্মসূচি ৩ জুন হওয়ার কথা ছিল। সে দিন মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক ডাকায় তখন ওই কর্মসূচি বাতিল করা হয়। এদিন অবস্থান চলাকালীন সাড়ে বারোটা নাগাদ উদয়নের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল সাহেবগঞ্জ থানায় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। থানায় তখন ছিলেন দিনহাটার এসডিপিও মানবেন্দ্র দাস, সাহেবগঞ্জ থানার ওসি হেমন্ত শর্মা প্রমুখ। সন্ত্রাস বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলে অবস্থান উঠে যায়।
পরে উদয়ন বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের পরে দিনহাটার বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। দলের কর্মী-সমর্থকরা অনেকেই ঘরছাড়া। বাড়িঘর ভাঙচুর থেকে শুরু করে নানা ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে তৃণমূল কর্মীদের। এর বিহিত চাইতেই আমরা অবস্থান বিক্ষোভ করি।’’ বিজেপির কোচবিহার জেলা সহ-সভাপতি প্রাক্তন বিধায়ক অশোক মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূল নিজেরাই সন্ত্রাস করে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। শুধু দিনহাটা নয়, গোটা জেলাতেই এমন কাণ্ড হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy