অসমাপ্ত: মালদহের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস। নিজস্ব চিত্র
বছরের পরে বছর ঘুরলেও শেষ হল না মালদহের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাসের। তাতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী, পরিবহণ কর্মী, বণিক মহল। তাঁদের বক্তব্য, জাতীয় সড়কের বাইপাসে একটি লেন চালু করা হয়েছে। সেটির দু’টি লেনই চালু হলে জাতীয় সড়কেও গতি আসবে। যদিও দ্রুত বাইপাসের কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ২০০৫ সালে শুরু হয়েছিল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। পাশাপাশি মালদহে একটি বাইপাস তৈরির উদ্যোগও নিয়েছিলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। ইংরেজবাজারের যদুপুর থেকে পুরাতন মালদহের নারায়ণপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ওই বছরই বাইপাস তৈরির কাজ শুরু করা হয়। ওই বছরই শহরের মাধবনগরে মহানন্দা নদীর উপরে তৃতীয় সেতুরও কাজ শুরু হয়। কাজ শুরুর ১০ বছরের মধ্যে বাইপাস তৈরি হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও তা অসমাপ্ত। এখনও ১০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষেরই একাংশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইপাস চালু না হওয়ায় শহরের মধ্যে থাকা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজট হত। সমস্যায় পড়তেন ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহের বাসিন্দারা। তার জেরে বাইপাস চালুর দাবিতে কর্তৃপক্ষকে চাপ দিতে থাকে জেলার বণিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় অসমাপ্ত বাইপাসের একাংশ দিয়ে যান চলাচল শুরু করা হয়। তবে বিভিন্ন কারণে তা একাধিক বার বন্ধ করেও দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দু’য়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালদহ সফরের সময় থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে ওই বাইপাস। তার পর থেকে আর তা বন্ধ করা হয়নি।
কিন্তু এত বছর পরেও বাইপাসের দু’টি লেন চালু না হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। পরিবহণ কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, বাইপাসের একটি লেন দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। সে ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যায়। এখন শুধুমাত্র পণ্যবাহী গাড়িই চলাচল করছে। দু’টি লেন চালু হয়ে গেলে বাইপাসে আরও গতি আসবে।”
ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, ‘‘একে তো কাজ শেষ হচ্ছে না বাইপাসের, তার উপরে কখনও তা বন্ধও করে দেওয়া হয়। বিপাকে পড়েন মানুষ। গাড়ি ভাড়া বেড়ে যায়। তাতে বাড়ে জিনিসের দামও।’’
মালদহে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর দীনেশ হানসারিয়া বলেন, ‘‘বাইপাসের সামান্য কাজ বাকি রয়েছে। খুব শীঘ্রই তা শেষ হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy