প্রতীকী চিত্র
কাঠকুটোর লোভ দেখিয়ে এক নাবালিকাকে চা বাগানের পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায় পঞ্চাশ বছরের দুই পড়শি। তার পরে মেয়েটিকে তারা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। রবিবার বিকেলে মাটিগাড়া থানার একটি চা বাগান লাগোয়া এলাকার ঘটনা। তবে অভিযোগ দায়ের হয়েছে সোমবার বিকেলের পর। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা জানান, মেয়েটির প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। মঙ্গলবার তার আরও একটি ডাক্তারি পরীক্ষা হওয়ার কথা। পকসো ধারায় একটি মামলাও রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটির পরিবার দরিদ্র। তার বাবা শ্রমিকের কাজ করেন, মা করেন পরিচারিকার কাজ। বাবা-মায়ের সঙ্গেই এলাকায় থাকে। ১৩ বছরের ওই মেয়েটি অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। মাটিগাড়ায় একটি চা বাগান এলাকায় তাদের বাড়ি। পাশের জঙ্গল থেকে কাঠ সংগ্রহেও যায় মেয়েটি। মেয়েটির বাবা বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে পাড়ারই দু’জন ধর্ষণ করেছে। লিখিত অভিযোগও হয়েছে। তাদের বিচার চাই।’’
অভিযোগ, এর আগেও মেয়েটিকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণ করেছিল। যদিও মেয়েটি তা কোনও কারণে বাড়িতে জানায়নি। মেয়েটির বাবা জানান, ররিবার বিকেলে তাঁর মেয়েকে বলা হয়, জঙ্গলের একটি জায়গায় অনেক শুকনো কাঠ রয়েছে। তারা সেগুলি দেখেছে। নিমরাজি হলেও মেয়েটি তাদের পিছনে জঙ্গলে যায়। কিন্তু সেখানে শুকনো কাঠ আদৌ ছিল না। মেয়েটি ফিরে আসতে চাইলে দা দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে ফের ধর্ষণ করা হয়। যদিও মেয়েটি তা বাড়িতে জানায়নি। পরে এলাকারই একজন মেয়েটির বাবার কাছে তা জানায়। মেয়েটিকে তখন জিজ্ঞাসা করলে সে সব কথা খুলে বলে পরিবারের কাছে। অভিযুক্তরা এলাকায় শ্রমিক এবং জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহের কাজ করে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
পুলিশ জানায়, রবিবার ঘটনার কথা জানতে পেরে রাতেই এক অভিযুক্তকে গিয়ে মারধর করে মেয়েটির পরিবার এবং এলাকার আরও কয়েক জন। অভিযোগ, এলাকায় একটি সালিশিও বসানোর চেষ্টা হয় টাকাপয়সার দাবিতে। যদিও মারধরের পর অভিযুক্ত ভয়ে পালিয়ে গেলে তা ভেস্তে যায়। তার পরেই মারধরের খবর পেয়ে অন্য অভিযুক্তও পালিয়ে যায় বলে দাবি পুলিশের।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছেন বলে শুনেছি। তার আরও একটি পরীক্ষা করা হবে। তারপরেই পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব।’’ অভিযুক্তদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন পুলিশকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy