যোগদান: বালুরঘাটের অনুষ্ঠানে অর্পিতা। নিজস্ব চিত্র
এনআরসির প্রতিবাদে বিজেপির দুই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলে যোগ দিলেন। এমনই দাবি করল তৃণমূল। বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ডের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মেরিলা মুর্মু এবং ডাঙা পঞ্চায়েতের প্রধান মল্লিকা কর্মকার সূত্রধর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। রবিবার বালুরঘাটে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন দলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ।
এর ফলে অমৃতখণ্ড পঞ্চায়েতে বিজেপির এক জন সদস্য কমে তৃণমূলের সমান হয়ে গেল। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, ‘‘তৃণমূল তাঁদের ভুল বুঝিয়ে টোপ দিয়ে দলে নিয়েছে। পঞ্চায়েত বিজেপির দখলেই থাকবে। বরং আমরা ওই দু’জনের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইনের মাধ্যমে সদস্যপদ খারিজের প্রক্রিয়া শুরু করব।’’ অর্পিতা দাবি করেন, ‘‘বিজেপির প্রধান হয়েও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে দুই প্রধান কোনও কাজ করতে পারছিলেন না বলে জানান। পাশাপাশি এনআরসির প্রতিবাদে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কাউকে ভুল বোঝানো হয়নি।’’
বালুরঘাট ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৮টি বিজেপির দখলে। ৩টি তৃণমূলের। এর মধ্যে বিজেপির দখলে থাকা অমৃতখণ্ড পঞ্চায়েতে বিজেপি ৭, তৃণমূল ৫ এবং আরএসপির ৫ জন সদস্য রয়েছেন। বিজেপির এক সদস্য তথা প্রধান মেরিলা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিজেপি এবং তৃণমূলের ৬ জন করে সমান সদস্য হয়ে গেল। আরএসপির ৫ জনের মধ্যে এক-দু’জন সদস্যকে দলে টানতে পারলে বোর্ডের দখল তৃণমূলের দিকে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ ছাড়া আর একটি পথ লটারির ভাগ্য। ডাঙা পঞ্চায়েতে অবশ্য ১১ জন সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের জোরে পঞ্চায়েতের দখল নেয় বিজেপি। এ দিন মল্লিকা তৃণমূলে যোগ দিলেও বিজেপির ১০ জন সদস্য থেকে যাচ্ছে। এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ৬ থেকে ৭ জন সদস্য হল। বামেদের আছে ৩ জন সদস্য।
মল্লিকা ও মেরিলা এ দিন জানান, প্রধানের পদে থেকে কোনও গুরুত্ব ছিল না। তাঁদের কোনও কাজ করতে দেওয়া হত না বলে অভিযোগ করে ওই দু’জনের দাবি, এই অবস্থার মধ্যে এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে বিভেদ মানতে না পেয়ে বিজেপি ছাড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy