ফাইল চিত্র।
গত বছর বেঙ্গল সাফারি পার্কের এনক্লোজারের বেড়া টপকে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল চিতাবাঘ সচিন। তাকে খুঁজে বের করতে কালঘাম ছুটে গিয়েছিল বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষের। কর্মীরা দিনরাত এক করেও সচিনকে খুঁজে পায়নি। পরে খিদেয় জ্বালায় সচিন নিজেই ফিরে এসেছিল খাঁচায়। রাজ্যের অন্য চিড়িয়াখানাগুলিতেও এরকম বিপদ হতে পারে বলে মনে করছেন বনকর্মীরা। তা মাথায় রেখেই, চিড়িয়াখানার জন্তুদের কী ভাবে ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে কাবু করতে হয়, কী ভাবে তাদের ধরতে হয়, তার একটি হাতেকলমে প্রশিক্ষণ শিবির হয়ে গেল বেঙ্গল সাফারি পার্কে।
বেঙ্গল সাফারি পার্কের কর্মীদের কয়েকজনের এই প্রশিক্ষণ ছিল। পার্কের কর্তারা জানান, শনিবার রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা এবং সাফারি পার্কগুলি থেকে কর্মীরা এসেও এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তারা এতে অংশ নেন। সুন্দরবন থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দলের সদস্যরাও এসেছিলেন বলে জানান বেঙ্গল সাফারি পার্কের কর্তারা।
তাঁদের দাবি, বন্য পশুদের পার্কের ভিতরেই যে কোনও কারণে ঘুম পাড়ানো গুলি ছুড়তে বা ধরতে হতে পারে। বেঙ্গল সাফারি পার্কের অধিকর্তা ধর্মদেও রাই বলেন, ‘‘গবেষণার কাজে লাগতে পারে বা রেডিয়ো কলার পরানোর জন্যও হতে পারে। জরুরি পরিস্থিতিতে সাফারি পার্কের প্রাণিরা বেরিয়ে গেলে তাদের ধরতে প্রশিক্ষিত দল চাই।’’
বেঙ্গল সাফারি পার্কে, ১২ ফুট বেড়া ডিঙিয়ে লাফ দিয়েছিল সচিন। তার আগে পর্যন্ত এরকম নজির নেই বলেই দাবি করছেন কর্তারা। তবুও ভবিষ্যতে সমস্যা এড়াতে এমন প্রশিক্ষণ করানো দরকার বলেই মনে করছিলেন রাজ্য বন দফতরের কর্তারা। সাফারি পার্কগুলিতে বিশেষ করে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে দিন দিন বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বেড়ে চলেছে পর্যটকের সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্যও এই প্রশিক্ষণ জরুরি বলে মনে করছেন কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy