আমোদ: তিস্তায়। নিজস্ব চিত্র
ঝড়ের গতিতে কাজ চলছে গজলডোবায় ‘ভোরের আলো’ মেগা ট্যুরিজম হাবের। ডিসেম্বরের মধ্যেই অন্তত দু’টি কটেজ পুরোপুরি প্রস্তুত করতে বদ্ধ পরিকর পর্যটন দফতর। তাদের দাবি, গ্রিন বেঞ্চের নির্দেশ মেনে সমীক্ষা করিয়ে সেই সুপারিশ অনুযায়ী কাজ হচ্ছে গজলডোবায়।
সব ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারির মধ্যেই ‘ভোরের আলো’ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই জলপথে ‘ভোরের আলো’ থেকে তিস্তা ধরে সেবক পর্যন্ত নৌকাবিহার, র্যাফটিংয়ের মহড়াও চলছে। চলতি মাসে ‘হট এয়ার বেলুন’ অর্থাৎ বেলুনে চড়ে ওড়ার মহড়াও হওয়ার কথা।
পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে গজলডোবায় পরিবেশ বান্ধব পর্যটন প্রকল্প গড়ার কাজই করা হচ্ছে। প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণের আগে একাধিকবার সমীক্ষা হচ্ছে। মূলত, পরিবেশ, বন্যপ্রাণ, জলচর পাখির বিচরণে যাতে সমস্যা না হয়, সেটাই বারবার দেখা হচ্ছে।’’
সরকারি সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত নভেম্বরে শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক বৈঠকে প্রকাশ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ‘ভোরের আলো’ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে জানতে চান। সেই সময় গৌতমবাবু জানিয়ে দেন, পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে জরুরি ভিত্তিতে প্রকল্পের কাজ চলছে। ওই বৈঠকের দু’দিনের মাথায় ফের প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে যান পর্যটনমন্ত্রী। তার পরে কাজে আরও গতি আনার নির্দেশ দেন। যাতে ডিসেম্বরের মধ্যেই থাকার মতো কটেজ তৈরি হয়ে য়ায়। সূত্রের খবর, ওই কটেজে প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীও যাতে থাকতে পারেন, সে ভাবেই তা সাজানো হচ্ছে। পাশেই যুব কল্যাণ দফতরের যুব আবাসের কাজও জোরকদমে চলছে বলে ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন। বেসরকারি শিল্পোদ্যোগীদের পক্ষ থেকে দু’টি সংস্থা জমি জরিপের পরে পর্যটকদের জন্য অতিথি নিবাস তৈরির কাজের সূচনা করেছে।
সম্প্রতি পর্যটন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সম্রাট চক্রবর্তী-সহ কয়েক জন গজলডোবা থেকে র্যাফটিং করে সেবকের কাছে তিস্তা সেতুর মুখ পর্যন্ত যাতায়াত করেছেন। জলপথে এই ১৯ কিলোমিটার দূরত্ব পার হতে সাড়ে ৪ ঘণ্টা সময় লেগেছে। গোটা পথ না হলেও ‘ভোরের আলো’ প্রকল্পে মূল সেতু থেকে অন্তত ৫ কিলোমিটার র্যাফটিং করাটা কম ঝুঁকির বলে তাঁদের অনেকের মত। সেই সঙ্গে জঙ্গলের পথে শালুগাড়া থেকে গজলডোবা পর্যন্ত রাস্তা সারানোর জন্য বন দফতরকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা দিয়েছে পর্যটন দফতর। ওই রাস্তাটি সারানো হলে ‘বেঙ্গল সাফারি পার্ক’ থেকে সরাসরি বনের মধ্যে দিয়ে ‘ভোরের আলো’য় পৌঁছোনো যাবে। পাশেই হাতি করিডর রয়েছে। তাই নির্দিষ্ট সময়ে বন দফতরের অনুমতি সাপেক্ষে তাদেরই পাহারায় ওই পথে যান চলাচল করবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক করেছে পর্যটন দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy