প্রতীকী ছবি।
পুজো নিয়ে পারদ চড়ছে কোচবিহারে। কয়েক দিন আগে, শীতলখুচিতে এক সভায় জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক কর্মীদের নির্দেশ দেন, মণ্ডপে মণ্ডপে বিজেপি নেতা-কর্মীরা যেন ঢুকতে না পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তার পরেই বিজেপি পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জানিয়েছে, পদ্মফুল নিয়ে মণ্ডপে ঢুকবেন দলের নেতা-কর্মীরা। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি বিরাজ বসু শুক্রবার বলেন, ‘‘এর থেকেই তৃণমূলের চরিত্র স্পষ্ট হয়েছে। পুজো মণ্ডপগুলিকেও নিজেদের সম্পত্তি বলে ভাবতে শুরু করেছে তারা। আমরা প্রত্যেকে পদ্মফুল নিয়ে মণ্ডপে যাব, দেখব কে আমাদের আটকায়?’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, ‘‘বিজেপি মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে। ধর্মে-ধর্মে বিভেদ তৈরি করে। এমন লোকেদের কোনও পবিত্র জায়গায় যাওয়ার অধিকার নেই।’’
গত রবিবার শীতলখুচিতে ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ কর্মসূচি করে বিজেপি। সে সময় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। তারই পাল্টা গত মঙ্গলবার সেখানে সভা করে তৃণমূল। সেখানেই তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘সামনে দেবীর বোধন, কয়েক দিন পরে মহালয়া। একটি পুজোমণ্ডপ ছাড়বেন না। একটি মণ্ডপেও বিজেপিকে ঘেঁষতে দেবেন না।’’
পুজো এলেই কোচবিহারে কারা, কতগুলি পুজো উদ্বোধন করবে, তা নিয়ে কার্যত অলিখিত লড়াই শুরু হয়। জেলাবাসীর একাংশের বক্তব্য, পুজো কমিটিগুলিও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে রাজনৈতিক দলগুলি। ২০১১ সালের পর থেকে সে ব্যাপারে রাজ্যের শাসক দলের একচেটিয়া দাপট ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। তৃণমূলের বিধায়ক-মন্ত্রীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুজোমণ্ডপে দেখা যায় বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের।
বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, ‘‘সরকার ও প্রশাসনের প্রভাব খাটিয়ে পুজো নিয়েও রাজনীতি করছে তৃণমূল। তা প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। মানুষ সব বুঝতে পারছেন।’’ তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘বিজেপি সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি। পুজোতেও প্রত্যেকের সঙ্গে থাকব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy