কথা বলছেন মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
রবিবার সকাল। আচমকা গৌতম দেবের বাড়ির সামনে হাজির হলেন ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের জনা আশি কর্মী-সমর্থক। জমায়েত থেকেই ওই ওয়ার্ডের বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যজিত অধিকারীকেই ফের টিকিট দেওয়ার দাবি তুলতে থাকেন তাঁরা। মন্ত্রী বেরিয়ে এলে তাঁকে ঘিরে ধরে ওই দাবি জানান ওই কর্মীরা। এমন ঘটনায় দৃশ্যতই বিরক্ত হল মন্ত্রী। ওই কাউন্সিলরের কাছে এই ঘটনার ব্যাখ্যা চাইবেন বলেও জানান। যদিও ঘটনার দায় এড়িয়েছেন ওই সত্যজিত।
এ দিন সকালে ওই সমর্থকেরা কয়েকটি গাড়ি করে মন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেবের বাড়ি আসেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, দলীয় পতাকা নিয়ে তাঁরা দাবি তোলেন সত্যজিতকেই ওই ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করতে হবে। কিছুক্ষণ এ ভাবে চলার মন্ত্রী তাঁদের বুঝিয়ে শান্ত করেন। পরে তাঁরা একই দাবি নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকারের বাড়িতেও যান। দলের নেতৃত্বে ছিলেন ৪০ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সদস্য সন্দীপ নাগ। পরে গৌতম বলেন, ‘‘এটা কী ধরনের আচরণ! এটা আমার বাড়ি। এখনও দলে সেরকম কোনও আলোচনা হয়নি। এগুলি কলকাতা থেকে ঠিক হয়। আমার বাড়ির সামনে কেন? জিজ্ঞাসা করব ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে।’’ গৌতম জানান, দলের কয়েকটি স্তরে প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হবে, দলের নিজেরও সমীক্ষা রয়েছে। সব দেখে জেলা থেকে দু’-তিনটি তালিকা গেলে কলকাতার নেতারা প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত করবেন।
দলের একটি অংশের অভিযোগ, এ বার টিকিট না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে অনুগামীদের দিয়ে এই পদক্ষেপ করেছেন সত্যজিত। তবে এ দিনের ঘটনা তাঁর নির্দেশে হয়নি বলেই দাবি সত্যজিতের। তিনি বলেন, ‘‘অনুগামীরা কোথাও গেলে আমি কী ভাবে তাঁদের আটকাব? আমায় জানিয়ে যাননি। তা হলে অন্তত গৌতম দা’কে আগাম জানিয়ে রাখতাম।’’ দলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার অবশ্য টিকিটের দাবিতে জমায়েতের কথা মানতে চাননি। তাঁর দাবি, সাত সকালে গাড়ি ভাড়া করে ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পুর পরিষেবা নিয়ে মন্ত্রী এবং তাঁর কাছে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন।
পুরভোটের আগে শাসক দলের টিকিট বিলির প্রাথমিক আলোচনা শুরু হতেই নিজেদের দাবি জোরালো করতে শুরু করেছেন আসনের দাবিদাররা। দলীয় সূত্রে দাবি, কেউ আন্দোলন শুরু করেছেন। কেউ মন্ত্রীর বাড়ি যাতায়াত করছেন। এ বার আসন সংরক্ষণের কোপে পড়েছেন তৃণমূলের প্রথম সারির কয়েকজন নেতা। ফলে গত নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ী কোন কাউন্সিলরের ওয়ার্ডে কোপ পড়ে, সেই ভয়ে অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy