কোচবিহারে বন্দে ভারতের স্টপের দাবিতে আন্দোলন তৃণমূলের। মঙ্গলবার নিউ কোচবিহার স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ‘স্টপ’-এর দাবিতে এ বার পথে নামল তৃণমূল। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ নিউ কোচবিহার স্টেশনে রেললাইনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। সেই সময়ে বামনহাট-শিলিগুড়ি ‘ডেমু’ ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছয়। অবশ্য ওই ট্রেন ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই রেললাইন থেকে উঠে পড়েন কর্মীরা। যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয় মাথাভাঙা স্টেশনেও। স্লোগান ওঠে, “কেন বন্দে ভারতের স্টপ নেই, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তার জবাব চায় কোচবিহারবাসী।” কোচবিহারে স্টপের দাবিতে হলদিবাড়ি স্টেশনের স্টেশন সুপারিন্টেন্ডেন্টকে স্মারকলিপি দেয় তৃণমূল।
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত বন্দে ভারতের যাত্রা শুরু হওয়ার কথা। দিন কয়েক আগে, রেলের যে বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছে, তাতে ওই রুটে বন্দে ভারত যে-যে স্টেশনে দাঁড়ানোর কথা, সে তালিকায় নাম নেই নিউ কোচবিহারের। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক অবশ্য দাবি করেছেন, কোচবিহারে স্টপ থাকবে বন্দে ভারতের। সেটা সময়ের অপেক্ষা। তার পরেও আন্দোলন শুরু করছে তৃণমূল।
স্টপের দাবিতে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ। অভিজিৎ বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের কোচবিহারের প্রতি কী দৃষ্টিভঙ্গি, তা এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। অর্থনীতি থেকে যোগাযোগ—সব দিক থেকেই কেন্দ্র বঞ্চনা করছে কোচবিহারকে। কেন্দ্রের শাসক দলের মন্ত্রী-বিধায়কেরা মাঝে মধ্যেই অনেক বড়-বড় কথা বলেন কিন্তু আখেরে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি কী, তা বুঝতে পারছেন মানুষ। নিউ কোচবিহারে বন্দে ভারতের স্টপ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।” গিরীন্দ্রনাথের তোপ, “বিজেপির কয়েক জন মন্ত্রী-বিধায়ক কোচবিহার নিয়ে মাঝে-মধ্যে আবেগের কথা বলেন। কিন্তু আসলে কোচবিহারকে নিয়ে কোনও চিন্তা-ভাবনা নেই তাঁদের। তা বারে বারেই প্রমাণিত হচ্ছে।” বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের ওই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বিজেপির কোচবিহার জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি, যাতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিউ কোচবিহার স্টেশনে স্টপ পায়। আমরা রেলমন্ত্রীর কাছেও সে দাবি জানিয়েছি। আর তৃণমূল তা নিয়ে রাজনীতি করছে।”
দিন কয়েক আগে রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে উল্লেখ রয়েছে, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত যেতে চার জায়গায় দাঁড়াবে বন্দে ভারত। তার মধ্যে রয়েছে নিঊ আলিপুরদুয়ার, কোকরাঝাড়, নিউ বঙ্গাইগাও ও কামাখ্যা। গত মার্চ মাসে এমনই আর একটি বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল। তাতে নিউ কোচবিহারে বন্দে ভারত থামবে বলে জানানো হয়। নিউ আলিপুরদুয়ারে স্টপ ছিল না। তখন আলিপুরদুয়ারে স্টপের দাবি উঠেছিল। দু’টি স্টেশনের দূরত্ব খুব বেশি না হওয়াতেই দুই জায়গায় স্টপ দেওয়া সমস্যার। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। রেল বোর্ডকেপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy