প্রতীকী ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির দিকে ‘ঝুঁকে’ যাওয়া বাম নেতা-কর্মীরা কি নতুন নাগরিকত্ব আইন বিতর্কের জেরে নিজেদের শিবিরে ফিরছেন? আজকের ধর্মঘটে সেটাই মেপে নিতে চাইছেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতারা। জেলার সর্বত্র এটা নিয়ে নজর রাখতে দলের নিচুতলার নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব।
২০১১ সালের পরেও জেলায় বামেদের সংগঠন বেশ ভালই ছিল। যার জেরে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলার অংশ হিসাবে আলিপুরদুয়ারে ভাল ফল করে বামেরা। জিততে না পারলেও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভালই ভোট পেয়েছিল বামেরা। তারপরই আলিপুরদুয়ারে বামেদের শক্তি ক্ষইতে শুরু করে।
এরই মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার দ্বিতীয় শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসাবে উঠে আসে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়। আর তারপরই তৃণমূলের তরফে বলা হয়, ওই নির্বাচনে বাম নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশ বিজেপির দিকে ঝুঁকে গিয়েছিলেন। তার জেরেই তৃণমূলের হার হয়েছে উত্তরে সর্বত্র।
কিন্তু নতুন নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি আতঙ্কের জেরে অন্য জায়গার মতো আলিপুরদুয়ারেও মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিতে ঝুঁকে থাকা জেলার বাম নেতা-কর্মীরাও নিজেদের কী অবস্থান নিচ্ছেন তা আজই বুঝে নিতে চাইছেন তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতারা। তাঁরা মনে করছেন, বিজেপিতে ঝুঁকে যাওয়া বাম নেতা-কর্মীরা সত্যিই যদি নিজেদের শিবিরে ফেরেন, তাহলে তা খুশির খবর। কারণ তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোট কাটাকাটিতে নিজেদেরই লাভ দেখছে তৃণমূল।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির দিকে যাওয়া বাম নেতা-কর্মীদের অনেকে নিজেদের শিবিরে ফিরতে শুরু করেছেন। ধর্মঘটে তাঁদের ভূমিকা কী হয়, তা তো দেখতে হবেই।’’ বামফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে আমাদের অনেক ভোটার বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। তবে নাগরিকত্ব আইন ও বিজেপি সরকারের অর্থনীতির কারণে তাঁরা আমাদের সমর্থন করতে শুরু করেছেন। ধর্মঘটেও তাঁরা আমাদেরই সমর্থন করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy