তৃণমূল ছেড়ে আসা সদস্যদের হাতে সিপিএমের পতাকা তুলে দিচ্ছেন জীবেশ সরকার। ছবি: সন্দীপ পাল।
দলে তাঁদের ভূমিকা ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ বলে অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের এলাকার এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। বৃহস্পতিবার সিপিএমে যোগ দিলেন তৃণমূলের টিকিটে জেতা পঞ্চায়েত সদস্য সূর্যকূমার মল্লিক। সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার দলীয় পতাকা তুলে দেন সূর্যবাবু-সহ তাঁর অনুগামীদের হাতে। উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পারিষদ নুরুল ইসলাম, দিবস চৌবেরা।
দলের টিকিটে জিতে পঞ্চায়েত সদস্য হলেও কোনও মতামত দেওয়ার অধিকার ছিল না বলে দাবি করেন দলত্যাগী পঞ্চায়েত সদস্য। এমনকী কোনও অভিযোগ জানাতে গেলেও মন্ত্রীর দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি গৌতমবাবু। তবে দলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিক এতে দলের লাভ হল বলে মন্তব্য করেছেন।
এ দিন নতুন সদস্যদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে জীবেশবাবু বলেন, ‘‘যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করতে চান, তাঁদের তৃণমূলে জায়গা নেই। শুধু অপমান সহ্য করে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষরা কেউ টিকে থাকতে পারবেন না। তাঁদেরই একটা অংশ এ দিন দলে যোগ দিয়েছেন।’’ আরও কিছু তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্যরাও সিপিএমের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানান সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য সুকান্ত কর। তিনি বলেন, ‘‘এখনই নাম বলছি না। তবে তৃণমূলের বেশ কিছু নির্বাচিত জন প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। যে কোনও সময়ে তাঁরাও সিপিএমে যোগ দিতে পারেন।’’
আর যে সূর্যকুমারবাবু এ দিন যোগ দিলেন তাঁর দাবি, দলের উপর মহলের নির্দেশ মত তাঁরা সই করা ছাড়া তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সামনে রেখে দলের নেতাদের খুশিমত কাজ করতে হত। ফলে দলে থাকার কোনও অর্থ দেখি না।’’ এ বিষয়ে মন্ত্রী মন্তব্য করতে না চাইলেও দেবাশিসবাবুর অভিযোগ সূর্যবাবু দল ছাড়াতে তাঁদের লাভ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সূর্যবাবুর ব্যক্তিগত কাজকর্মে অনেকে অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওঁকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছিলেন। উনি নিজে দল ছাড়ায় সুবিধাই হল।
এ দিন শিলিগুড়ির মেয়র তথা বিধানসভা ভোটের জোট প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যের নিজের ওয়ার্ড শিলিগুড়ির কুরেশি মহল্লায় সিপিএম ও বিজেপি ছেড়ে কিছু সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
তাঁরা তৃণমূলের শিলিগুড়ি কেন্দ্রের প্রার্থী ভাইচুং ভুটিয়ার হাত থেকে পতাকা তুলে নেন। উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার, যুব সভাপতি বিকাশ সরকার, কৃষ্ণ পালরা। অশোকবাবু এলাকায় সময় দিচ্ছেন না বলে তাঁদের অভিযোগ। এমনকী পুরসভার ভোটে তাঁকে জেতানোর জন্য ভোট দিলেও পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান যোগদানকারীরা।
দলের পক্ষ থেকে এলাকার নেতা মিলন দত্ত জানান মোট ৮২ জন দুটি দল থেকে যোগ দিয়েছেন এর মধ্যে বেশিরভাগই সিপিএম থেকে যোগ দেওয়া। যদিও সিপিএম থেকে কেউ তৃণমূলে যোগ দেয়নি বলে অশোকবাবুর পাল্টা দাবি। তিনি বলেন, ‘‘পুরোটাই সাজানো। তৃণমূল ছেড়ে দলে দলে লোক সিপিএমে যাচ্ছে, তাই কিছু লোককে নিয়ে যোগদানের নাটক করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy