মহুয়া গোপের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র
‘দিদির দূত’ হয়ে গ্রামে যেতেই বাসিন্দাদের বিস্তর অভিযোগের মুখে পড়তে হল তৃণমূল নেতৃত্বকে। রবিবার ডাবগ্রাম এক অঞ্চলে গিয়েছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক। সেখানে লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা না পাওয়া, বেহাল রাস্তার নিয়ে অভিযোগের কথা শোনেন। অন্যদিকে, ফুলবাড়ি এক অঞ্চলের অন্তর্গত পোড়াঝাড়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যান জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া গোপ। সেখানে নেতৃত্বের সামনেই কিছু বাসিন্দা পানীয় জল, নর্দমার সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। যদিও বিক্ষোভ হয়েছে তা মানতে নারাজ নেতৃত্ব। তাঁদের কথা, ‘‘বিক্ষোভ কোথাও হয়নি। সাধারণ মানুষ তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন।’’
এ দিন সকালে স্থানীয় নেতৃত্ব, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে পোড়াঝাড় সহ আশপাশের এলাকায় যান মহুয়া গোপ। পোড়াঝাড়ে পৌঁছতেই কয়েকজন বাসিন্দা এলাকায় ঠিকমতো পানীয় জল আসে না বলে অভিযোগ করেন। নেতৃত্বকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা। বকুল সরকার নামে এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘গ্রামে পানীয় জল ঠিকমতো আসে না। নর্দমা দিয়ে জল যেতে পারে না। ৭ বছর ধরে এমন অবস্থা। অথচ পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কিছু হয়নি।’’ কর্মসূচি চলকালীন মহুয়া গোপ বলেন, ‘‘কোনও বিক্ষোভ হয়নি। মানুষের সমস্যার কথা জানতে আমাদের এলাকায় আসা। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যদের বলেছি সমস্যাগুলি দেখা দরকার ছিল আগেই। দলীয় নেতৃত্বকে জানানো প্রয়োজন ছিল। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নজর রাখতে হবে কোথায় কাজ হয়নি।’’
অন্যদিকে এ দিন সকালে ডাবগ্রাম এক অঞ্চলের তড়িবাড়ি, বিকাশনগর, সমরনগর এলাকায় যান মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক। কর্মসূচিতে গিয়ে বিকাশনগরে নিজে চায়ের দোকানে ঢুকে চা বানিয়ে কর্মীদের খাওয়ান৷ এলাকায় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা খারাপ রাস্তা, পানীয় জলের সমস্যার কথা জানান তাঁকে। মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে সনকা রায় নামে এক মহিলা জানান, ‘‘দুয়ারে সরকারে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন করলেও এখনও টাকা পাইনি।’’ শোনার পর বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। অন্যদিকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘‘কিছু জায়গায় রাজনীতি হচ্ছে। বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ স্বাগত জানাচ্ছেন, কথা বলছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy