পঞ্চায়েত ভোটের আগে অসন্তোষের কারণে তৃণমূল ছাড়লেন একাধিক নেতা ও কর্মী। —প্রতীকী চিত্র।
আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। আর সেই কারণে দলের পদ থেকে গণইস্তফা দিতে শুরু করেছেন কোচবিহারের তুফানগঞ্জের নাককাটিগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতারা। ইতিমধ্যে যুব তৃণমূলের সভাপতি, বুথ সভাপতি, বুথ কনভেনার-সহ সংশ্লিষ্ট বুথের বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা কর্মীরা পদত্যাগ করেছেন। অভিযোগ, দলের নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্বে নিচুতলার কর্মীরা সমস্যায় পড়েছেন। তাঁরা কাজ করতে পারছেন না। এই কারণেই তাঁরা দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান এক পদত্যাগী নেতা।
প্রসঙ্গত, কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল বেশ পুরনো। বার বার শীর্ষ নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করেছেন, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। এরই জেরে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গণইস্তফা দিলেন কয়েক জন তৃণমূল নেতা। নাককাঠিগাছ অঞ্চলের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীবকুমার দাসের কথায়, ‘‘দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে মতানৈক্য থাকার কারণে সাধারণ তৃণমূল কর্মীরা কাজ করতে পারছেন না।’’ বার বার এই মতানৈক্য এবং অসন্তোষের কারণে তিনি ছাড়াও ওই পঞ্চায়েতের ১৯৭ নম্বর বুথের সভাপতি, ১৯৮ নম্বর বুথের কনভেনার ও বুথের বিভিন্ন নেতা দলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান সঞ্জীব। যদিও পদত্যাগীদের বেশ কয়েক জন দল ছাড়ার কারণ হিসাবে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সমস্যার কথা বলেছেন। এ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
অন্য দিকে, এই ইস্তফার ঘটনায় কটাক্ষ করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির জেলা সম্পাদক উৎপল দাস বলেন, ‘‘এখনও তৃণমূলের মধ্যে হয়তো কিছু ভাল লোক আছেন, যাঁরা কাজ করতে চাইছেন। এঁরা শীর্ষ নেতাদের গোষ্ঠীকোন্দলের জন্য কাজ করতে পারছেন না। তা ছাড়া, তৃণমূলের ব্লক হোক বা অঞ্চল সভাপতি, কোনও পদেই তো কেউ ৬ মাসের বেশি থাকেন না।’’ বিজেপি নেতার সংযুক্তি, ‘‘জেলায়, রাজ্যে— সর্বত্র এ ভাবেই তৃণমূলের সংগঠন ভেঙে পড়বে। তৃণমূলের আরও নেতা ও কর্মী এ ভাবে পদ ছাড়বেন। দলও ছাড়বেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy