Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

বেচারামের সভায় ক্ষোভ নেত্রীর

যে নেত্রী বেচারামের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন তিনি জলপাইগুড়ি সদর ১ নম্বর ব্লকের মহিলা সভানেত্রী সন্ধ্যা রায়। এ দিন তিনি মঞ্চে সংগঠনের সভাপতি বেচারামের কাছে গিয়ে তাঁকে অনুরোধ করেন গ্রামে যেতে।

বেচারাম মান্না। ফাইল ছবি

বেচারাম মান্না। ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০২:১৩
Share: Save:

মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তৃণমূলের কিসান খেত মজদুর সমিতির সভাপতি বেচারাম মান্না। তাঁর কথা শেষ হতেই দর্শক আসন থেকে ব্লকস্তরের এক নেত্রী দাবি জানাতে থাকেন যে তাঁদের কথাও শুনতে হবে। জেলা নেতাদের কয়েকজন তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করলেও বেচারামের কাছে পৌঁছে যান তিনি। কিন্তু বাকি নেতারা বেচারামকে সরিয়ে নিয়ে যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ হলে কিসান খেত মজদুরের জেলা কমিটির বর্ধিত সভার ঘটনা। এ দিন ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা ছিল।

যে নেত্রী বেচারামের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন তিনি জলপাইগুড়ি সদর ১ নম্বর ব্লকের মহিলা সভানেত্রী সন্ধ্যা রায়। এ দিন তিনি মঞ্চে সংগঠনের সভাপতি বেচারামের কাছে গিয়ে তাঁকে অনুরোধ করেন গ্রামে যেতে। তা শুনে বেচারাম জানান, যে তাঁর বক্তৃতায় সেই নির্দেশই দিয়েছেন। সন্ধ্যাদেবী সভাস্থলে দাঁড়িয়ে বলতে থাকেন, ‘‘দলের এখন কঠিন সময়। শহরে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিলে হবে না, রাজ্যের নেতাদের গ্রামে গ্রামে ঘুরতে হবে।” নেত্রীর সঙ্গে সায় দেন অন্যান্যরা, শুরু হয় হুলুস্থুল। জেলা নেতারা ততক্ষণে বেচারামকে নিয়ে সভাস্থল ছেড়ে রওনা হয়ে গিয়েছেন।

পরে সন্ধ্যা রায় বলেন, ‘‘নেতার সঙ্গে কোথায় আর কথা বলতে পারলাম। দলের কথাই বলতে চেয়েছিলাম।” এ দিন কিসান খেত মজদুর সমিতির সভাপতি বেচারাম মান্না বক্তৃতায় সংগঠন গোছানোর নির্দেশ দেন। লোকসভায় দলের হারের নেপথ্যে এক শ্রেণির নেতাদের আচার-আচরণ নিয়েও সমালোচনা করেন। বেচারাম বলেন, “কিছু নেতা আছে যাঁরা যোগ্য কর্মীদের বিভিন্ন পদের দায়িত্ব না দিয়ে যাঁরা তাঁর ব্যাগ, জলের বোতল বয়ে দেন তাঁদেরকে নেতা করতে চান। এমনটা আর হবে না।” লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্য কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দল। অনেকক্ষেত্রেই তা হয়নি বলে কবুল করেন তিনি।

বেচারাম বলেন, “হয়ত কারও সরকারি ঘর না পেয়ে ক্ষোভ ছিল। ভোটের আগে কর্মী-নেতারা সেই ক্ষুব্ধ লোকের বাড়ি গেলে রাগ মেটাতে পারত। কিন্তু দলের কর্মীরা তো বাড়িই যায়নি তাই সেই ক্ষোভও মেটানো যায়নি।” কর্মীদের যোগ্য মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশও দেন। সভায় থাকা জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তাঁর মন্তব্য, “ঠিকাদারদের খাতির না করে দলের কর্মীদের সম্মান দিতে হবে।” ২১ জুলাই বেশি করে কর্মী-সমর্থকদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এ দিনের সভার আয়োজক তথা কিসান খেত মজদুরের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, “রাজ্য সভাপতি যা বলেছেন তা সকলে মেনে চলব।”

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Becharam Manna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy