প্রতীকী ছবি
মাদক ট্যাবলেট কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে। শনিবার মালদহের ইংরেজবাজার শহরের হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা থেকে তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। এ দিনই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা।
পুলিশ জানায়, ধৃত আমিরুদ্দিন শেখ কালিয়াচক ১ পঞ্চায়েতের প্রধান। আমিরুদ্দিন কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জের বাসিন্দা। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘শনিবার এসটিএফের একটি দল তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে যায়। কোটি টাকা মূল্যের মাদক ট্যাবলেট উদ্ধারের ঘটনায় তাঁকে ধরা হয়েছে। ঘটনায় মালদহের আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা—সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
গত বছরের নভেম্বরে মালদহ শহরের এক হোটেল থেকে কোটি টাকা মূল্যের মাদক ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছিল। ঘটনায় মালদহ এবং কলকাতার একাধিক কারবারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনাতেই এ বার গ্রেফতার করা হল আমিরুদ্দিনকে। পুলিশ জানায়, আমিরুদ্দিনের সঙ্গে মণিপুরের কারবারীদেরও যোগ রয়েছে। পুলিশ জানায়, মণিপুর থেকে ওই মাদক সংগ্রহ করে তা মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্ত দিয়ে ভিন্ দেশে পাচার করা হয়। বাংলাদেশে একেকটি ট্যাবলেটের দাম ১০০ টাকা।
অভিযোগ, বছর চারেক আগেও মালদহ জুড়ে বেআইনি ভাবে পোস্ত চাষ হত। পুলিশ সূত্রে খবর, মাদক কারবারে আগেও জেলার শাসক থেকে বিরোধী দলের একাধিক জনপ্রতিনিধি গ্রেফতার হয়েছেন। এ বার ওই কারবারে পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধির নাম জড়াল।
মাদক কারবারে তৃণমূলের প্রধান গ্রেফতার হওয়ায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে মালদহে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধী দলের নেতারা। কালিয়াচকের কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত প্রধান মাদক ট্যাবলেট কারবারে গ্রেফতার হচ্ছে। শাসকদলের মদতেই এই অসামাজিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।’’
এ নিয়ে তৃণমূলের মালদহের নেতা দুলাল সরকার বলেন, ‘‘কেউ অন্যায় কাজ করলে দল তাঁর পাশে থাকবে না। এখানে আইন আইনের পথেই চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy