বিজেপির মিছিলের ব্যানার নিয়ে তরজা। নিজস্ব ছবি।
বিজেপি কর্মীদের হত্যাকারীদের শাস্তি হল কেন! বিজেপির মিছিলের ব্যানারে লেখা হয়েছে এই বাক্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছে শাসকদল। সেই দিনেই গেরুয়া শিবিরের প্রতিবাদ মিছিলের ব্যানারে এমন ‘শব্দ বিপর্যয়’ নিয়ে রসসিক্ত কটাক্ষ করতে শুরু করেছে শাসকদল তৃণমূল। বিজেপির অবশ্য বক্তব্য, ছাপাখানার ভুলের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।
গত সপ্তাহে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মাথাভাঙার সভা থেকে নিশীথের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন। সেই মতোই ঘেরাও কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা তৃণমূল। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথের বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরত্বে অবস্থান বিক্ষোভ করেন শাসকদলের নেতাকর্মীরা। তারই প্রতিবাদে পাল্টা মিছিলের ডাক দেয় বিজেপি। বেলার দিকে পঞ্চরঙ্গী মোড়ে জেলা বিজেপির দলীয় কার্যালয় থেকে সেই মিছিল শুরু হয়। অংশ নেন দলের জেলা সভাপতি সুকুমার রায়, নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে।
বিজেপি সূত্রে খবর, কার্যালয় থেকে মিছিল যখন শুরু হয়, তখন সেই মিছিলে কোনও ব্যানার ছিল না। মিছিল অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার পরেই সেই ব্যানার এসে পৌঁছয়। সামনের সারিতে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা তখন বিষয়টি খেয়াল করেননি। পরে যখন দলীয় কর্মীদের নজরে আসে, তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। প্রকাশ্যে আসা ওই ব্যানারে লেখা হয়েছে, ‘‘ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মীদের হত্যাকারীদের শাস্তি হল কেন... মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জবাব দাও।’’ নজরে আসার পর অবশ্য ব্যানারটি সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বিতর্ক ঠেকানো যায়নি। এই ঘটনায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘কী বলি! একটা কথা আছে, বাঁদরের হাতে খন্তা দেওয়া। অশিক্ষিতদের হাতে নেতৃত্ব দিলে এই ধরনের ফ্লেক্স, প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঘুরবে।’’
বিজেপি অবশ্য এই ঘটনার দায় ছাপাখানার ঘাড়েই চাপিয়ে দিয়েছে। জেলা সভাপতি সুকুমার বলেন, ‘‘শনিবার রাতে মিছিলের পরিকল্পনা করা হয়েছে। রবিবার বলে সব ছাপাখানাও বন্ধ। প্রথমে কোনও ব্যানার ছাড়াই মিছিল শুরু করেছিলাম। মিছিলের মাঝে ব্যানার এসে পৌঁছেছিল। সম্পূর্ণ ছাপাখানার ভুল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy