মদনমোহন মন্দিরে বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে এবং (ডান দিকে) পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শনিবার কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র
নববর্ষে কোচবিহারের শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরে মদনমোহনের দরবারে হাজির হলেন শাসক ও বিরোধী দলের নেতারা। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মঙ্গল কামনায় মদনমোহন দেবের কাছে পুজো দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-ও মদনমোহন দেবের কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে মন্দিরের বারান্দার সিংহাসনে বসান হয় মদনমোহন বিগ্রহ। সকাল থেকেই মন্দিরে পুজো দিতে ভক্ত, দর্শনার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মঙ্গল কামনা করে মন্দিরে পুজো দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “নববর্ষের দিন মুখ্যমন্ত্রীর মঙ্গল কামনা করে পুজো দিয়েছি। তিনি যাতে নতুন বছরে সুস্থ থাকেন সে প্রার্থনা করি। সবাই ভাল থাকুন, সে প্রার্থনাও করেছি।” বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “মদনমোহন দেবের কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুস্বাস্থ্য প্রার্থনা করেছি। সেই সঙ্গে সমস্ত মানুষের কল্যাণ কামনা করি।”
তৃণমূল নেতা তথা এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়ও মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেন। এ ছাড়া, আরও কয়েক জন নেতা, নেত্রী, জন প্রতিনিধিও মন্দিরে গিয়েছিলেন। আমজনতা থেকে আমলারা, নববর্ষে মন্দিরে যান অনেকেই।
দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ১০টা পর্যন্ত বিগ্রহ বারান্দায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়। মন্দিরের প্রবেশ দরজাও এ দিন অতিরিক্ত সময় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সকাল থেকে মন্দিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সচিব বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সকাল থেকেই ভিড় ছিল। সব মিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়।” দেবোত্তরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী জানান, সকাল থেকে দিনভর তো বটেই সন্ধ্যার পরেও, মন্দির চত্বরে উপচে পড়া ভিড় হয়। লাগোয়া রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy