প্রতীকী ছবি
করোনা আবহের মধ্যেই রাজনৈতিক গণ্ডগোলে তপ্ত হতে শুরু করেছে কোচবিহার। শনিবার রাতে বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানার পানিশালার এসএসবি ক্যাম্প লাগোয়া এলাকার ঘটনা। রাতেই বিজেপি কর্মীরা সেখানে জড়ো হন। পরে পুলিশ যায়। ওই দিন দুপুরেও পানিশালার ছয় চৌপথীতে বিজেপির এক সভাকে লক্ষ্য করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকর বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভার অভিযোগ, দিন কয়েক ধরে ফের তৃণমূল বিজেপির উপরে হামলা শুরু করেছে। ওইদিন দুপুরে ছয় চৌপথীতে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে যান বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি আলি হোসেন। সেখানে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। রাতে বিজেপির পানিশালা মণ্ডল সভাপতি অবিরাম প্রামাণিকের বাড়িতে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
অবিরামের অভিযোগ, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ একটি গাড়ি ও বাইকে কয়েকজন তাঁর বাড়ির সামনে এসে দু’টি বোমা ছোড়ে। প্রতিবেশীরা বেড়িয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালায়। তিনি বলেন, “যে ছোট গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা এসেছিল তা একজন তৃণমূল কর্মীর।”
তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “বিজেপি পুরোপুরি মিথ্যে অভিযোগ করছে। আসলে কী ভাবে প্রচারে আসা যায় সে চেষ্টা করছে তারা।” এই অবস্থার মধ্যে শুরু হয়েছে দলবদলের পালাও। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী তথা নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেন, রবিবার নাটাবাড়িতে একদল বিজেপি কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেয়। তুফানগঞ্জের শালবাড়িতে দু’দিন আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। পাল্টা দিনহাটাতে বেশ কয়েক তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছে বলেও দাবি উঠেছে। বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “অনেকেই দলে ঢোকার জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন যোগ দিয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy