ফাইল চিত্র
করোনা সতর্কতায় লকডাউন কাটিয়ে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এই অবস্থায় পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। শুক্রবার সন্ধ্যায়, ফেসবুক লাইভে এসে সেই কথা জানিয়েছেন উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণভাবে সিমেস্টারের পরীক্ষা মে মাসের শেষে হয়ে থাকে।বাকি পুরনো পাঠ্যক্রমের অধীনে থাকা ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা জুন মাস নাগাদ হয়। বর্তমান অবস্থায় কীভাবে এইসব পরীক্ষা সম্পন্ন করা যায়, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করে, একাধিক পথ খুলে রাখার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়, সে কথাও স্পষ্ট করেছেন উপাচার্য।পরিস্থিতি অনুযায়ী কী কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে, তা নিয়ে একটি তালিকা করা হয়েছে।
স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বেশি দেরি হলে ছাত্র-ছাত্রীদের আগের সিমেস্টারের বা পরীক্ষার ফল দেখে গড় নম্বর দেওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে। ভাবনায় ওপেন বুক বা অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতি, এমসিকিউ ‘ওএমআর অপটিক্যাল মার্ক রিকগনেশন’ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার মতো একাধিক ভাবনাও রয়েছে। আবার একই বিষয়ের পরীক্ষা ভিন্ন প্রশ্নপত্রে কয়েকদিন ধরে, আলাদা সিফটে করার কথাও হচ্ছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পরে হাতে কতটা সময় মিলছে, তা দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উপাচার্য ফেসবুক লাইভে জানিয়েছেন, পরীক্ষা পদ্ধতি কীভাবে পরিবর্তন করা যায়, তার বিভিন্ন প্রকার নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তাঁরা। তবে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। ওই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে উপাচার্য বলেন, “১০ জুন বিশ্ববিদ্যালয় আদৌ খোলা যাবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। সবই নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর। আমরা কোনও সিদ্ধান্ত এখনই নিচ্ছি না। সম্ভাব্য কিছু প্রস্তুতি মাথায় রাখা হচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন উপাচার্য। সেখানেও ওই ব্যাপারে আলোচনা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy