রাজতন্ত্রের সমর্থকেরা সক্রিয় হওয়ায় পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছে নেপালে। এ দেশের সঙ্গে নেপালের সীমান্তেও তার আঁচ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। তাই নেপাল সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শিলিগুড়িতে নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি, পাহাড়ে মিরিকের সীমান্ত এলাকায় সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) নজরদারি বাড়িয়েছে। কড়াকড়ি করা হয়েছে দুই পারের বাসিন্দাদের যাতায়াত থেকে শুরু করে পণ্য আদানপ্রদানেও।
এসএসবি এবং সীমান্ত এলাকার ব্যবসায়ীদের একটি সূত্রে খবর, শনিবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু-সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে। একাধিক মৃত্যু, জখম হওয়া, লুটপাটের খবর মিলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঠমান্ডু-সহ বিভিন্ন শহরে সেনাবাহিনীর টহল চলছে। এই পরিস্থিতির জেরে, ভারত-নেপাল সীমান্তে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন। তাই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চায় না এসএসবি।
পানিট্যাঙ্কি-কাঁকরভিটা সীমান্তের দায়িত্বে থাকা এসএসবি আধিকারিক যোগেশকুমার সাইনি বলেন, ‘‘আমরা কড়া নজর রাখছি। কোনও রকম গোলমাল বরদাস্ত করা হবে না। কেউ নিয়ম ভেঙে এ দেশে প্রবেশ করতে চাইলে, আটকানো হবে। ওই দেশের পরিস্থিতি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তার প্রভাব এ পারে কোনও ভাবেই পড়বে না।’’
পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত আমদানি-রফতানি কারবারে যুক্ত ‘পানিট্যাঙ্কি ক্লিয়ারিং এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’-এর সদস্য মৃত্যুঞ্জয় রায় বলেন, ‘‘পণ্য আনা-নেওয়া চলছে। পরিস্থিতির দিকে আমরাও নজর রাখছি। তবে এখনও সীমান্তের এ দিকে বড় কোনও সমস্যা হয়নি।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)