এই দোকানেই হয়েছে চুরি। নিজস্ব চিত্র
কিছুদিন আগে শিলিগুড়িতে একটি খাওয়ার হোটেলের চাল ভেঙে চুরি হয়েছিল টাকা আর বাসন। এখনও সেই ঘটনায় কেউ ধরা পড়েনি। তার মধ্যে ফের একই কায়দায় চুরি হল শহরে। শুক্রবার রাতে হাতিমোড়ের ঘটনা। সেখানে ওই ওষুধের দোকানের চাল ভেঙে ঢুকে লক্ষাধিক টাকার ওষুধ নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়েছে বলে অভিযোগ। টাকাও চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ দোকান মালিকের। একজন নাকি একাধিক দুষ্কৃতী এই কাজে জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুজোর আগে শহরে বারবার চুরি-ডাকাতির ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে ব্যবসায়ী, বাসিন্দাদের। এ দিনের ঘটনার পরে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
পুলিশ জানায়, রাতে সাড়ে এগারোটার পরে হাতিমোড়ের ওই ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। দোকানের মালিক নীতিন কন্ডোই বলেন, ‘‘খুব চিন্তায় রয়েছি। চুরির দিন সন্ধের পরে আমার এক কর্মীর সাইকেলও দোকানের সামনে থেকে চুরি হয়ে গিয়েছিল।’’ দোকানে আসবাবের কাজ হবে বলে কয়েকদিন ধরেই সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন নীতিন। পুলিশের একাংশের প্রাথমিক অনুমান, চোরের কাছে তার খবর ছিল। দোকানের মালিক জানান, সব মিলিয়ে প্রায় দু’লক্ষ টাকার ওষুধ নিয়ে পালিয়েছে চোর। তিন তলার চাল থেকে টিন সরিয়ে ঢুকেছিল দুষ্কৃতী। একতলায় নেমে কয়েক হাজার টাকাও চুরি হয়েছে বলে জানান নীতিন। দোকানের পাশে একটি বাড়ি রয়েছে। সেটির পিছনে বাইরের দিক থেকে সিঁড়ি রয়েছে। পুলিশের দাবি, সেটা দিয়ে দোকানে ছাদে ওঠার সুযোগ কাজে লাগিয়ে থাকতে পারে চোর। শিলিগুড়ি পুলিশের এক কর্তা জানান, কোর্ট মোড়ে হোটেলে চুরির ঘটনার সঙ্গে শুক্রবারের এই চুরির মিল রয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি (পূর্ব) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত হচ্ছে।’’
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির দাবি, কয়েক মাস আগেই এনজেপি বাজার এলাকায় পর পর চুরির ঘটনায় তাঁরা শিলিগুড়ি পুলিশের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। বৃহত্তর শিলিগুড়ির খুচরো ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় মুহুরি বলেন, ‘‘পুজোর আগে সমস্ত দোকানেই ব্যবসা একটু বাড়ে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহে শিলিগুড়িতে যা শুরু হয়েছে, আমরা সত্যিই আতঙ্কিত। নজরদারি বাড়াতে হবে পুলিশকে।’’ তাঁদের দাবি, ব্যবসায়ীদের অনেকেই রাতের নজরদারির জন্য বাজারে নিরাপত্তারক্ষী রাখেন। পুলিশকর্তাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, শহরে রাতে যে সমস্ত বাজারে নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে, সেগুলিতে একবার করে টহল দিয়ে একটি খাতায় ওই নিরাপত্তারক্ষীদেরও সই করানো হোক। সেই প্রস্তাব নিয়ে ভেবে তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy