শিলিগুড়ি শহরের ভেনাস মোড়। ফাইল চিত্র
একটা-দু’টো নয়। একসঙ্গে দশটি রাস্তার মোড়ের নাম বদল করল শিলিগুড়ি পুরসভা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া তিনটি উড়ালপুলেরও নতুন নামকরণ করা হয়েছে। নাম বদলে গিয়েছে সেবক মোড়, পানিট্যাঙ্কি মোড়, ঝঙ্কারমোড়ের মতো শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। শুধু নাম বদলেছে তাই নয়, কোথাও ‘মোড়’ হয়ে গিয়েছে ‘চক’। কোথাও বা ‘স্কোয়ার’। একটি সেতুর নামকরণ হয়েছে প্রয়াত কাউন্সিলর অরবিন্দ ঘোষের নামেও। শহরের এতগুলি রাস্তার মোড়ের নাম কেন বদল করা হল তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। পুরভোটের দোরগোড়ায় পুরসভার এই কাজে বামেদের বিরুদ্ধে ‘নাম’ মাহাত্ম্যের রাজনীতি করার অভিযোগও তুলেছে বিরোধীরা।
হাতি মোড়ের নাম হয়েছে সুভাষচন্দ্র বসুর নামে, এয়ারভিউ মোড়ের নাম পাল্টে রাখা হয়েছে মহাত্মা গাঁধী চক। পঞ্চানন বর্মা থেকে শুরু করে ভানুভক্ত সকলের নামেই হয়েছে রাস্তার নাম। নাম পরিবর্তনে তাড়াহুড়ো করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার। তাঁর মতে আরও অনেকের নামে রাস্তা হতে পারত। তৃণমূল পুরসভার ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস নেতা উদয় চক্রবর্তী, সনু পটেলদের নামে রাস্তার নামকরণ করা হবে বলে জানান রঞ্জন। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘নামকরণের আগে আরও আলোচনা দরকার ছিল। মানুষের সঙ্গে আরও কথা বলতে হত। তা না করে তড়িঘড়ি করা হল। অনেক ঐতিহ্যবাহী মোড় রয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, প্রথমে নামকরণের কমিটিতে তাঁকে রাখা হয়নি। পরে তাঁর সম্মতি না নিয়েই আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রাখা হয়।
যদিও নামকরণে তাড়াহুড়োর কথা মানতে চাননি মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভার তরফে নামকরণের কমিটি হয়েছে। নাম বদলের বিষয়টি নিয়ে মত চাইলে দুই জন ব্যক্তি ‘চক’ করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। আর কেউ কিছু জানাননি। আগে বলতে পারতেন।’’ মেয়রের দাবি, ভোটের রাজনীতি যাঁরা করতে চান তাঁরাই এসব বলছেন। তিনি বলেন, ‘‘হাওড়া, কলকাতাতে বিরোধীদের কথা তো মানাই হয় না। তারা কম কথা বলুন।’’
নাম বদলের সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস কাউন্সিলররাও। তাঁদের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশে ইলাহাবাদের নাম প্রয়াগরাজ করা হলে তার বিরোধিতা করা হয়। আর শিলিগুড়িতে নাম বদল করা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, সেবক মোড়ের নাম কেন গুরুনানক চক হবে? নামকরণের পিছনে যুক্তিযুক্ত কারণ চাই। কংগ্রেসের শিলিগুড়ি পুরসভার পরিষদীয় দলনেতা সুজয় ঘটক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যখন রেলস্টেশনের নাম কাজি নজরুল বা উত্তম কুমারের নামে দেন তখন বামেরা আপত্তি তুলেছিল মানুষ চিনতে পারবে না বলে। সব ক্ষেত্রে একই ধারা চলছে। অরবিন্দ ঘোষের নামে সেতুর নাম হয়েছে ভাল। কংগ্রেস নেতা উদয় চক্রবর্তীর নামেও রাস্তার নামকরণ হওয়া উচিৎ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy