প্রতীকী ছবি
সপ্তাহখানেক পরেই খুশির ইদ। কিন্তু উৎসবে বাধ সেধেছে ‘লকডাউন’। এমন পরিস্থিতিতে ইদের নমাজ ইদগাহে নয়, বাড়িতে পড়ার আহ্বান জানালেন মালদহের মুসলিম সংগঠনগুলি। শনিবার দুপুরে জেলার পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে দোকান-বাজার বন্ধেরও আহ্বান জানান সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা।
লকডাউনের মেয়াদ ইদের পরেও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল বাংলা ইমাম অ্যাসোসিয়েশন। মালদহের মুসলিম সংগঠনগুলিও ওই দাবিকে স্বাগত জানিয়েছিল।
ইদের নমাজে সব চেয়ে বেশি ভিড় হয় মালদহের কালিয়াচকের সুজাপুরের নয়মৌজা ইদগাহে। জানা গিয়েছে, সুজাপুর নয়মৌজা ইদগাহের অধীনে ৩৯টি জামে মসজিদ রয়েছে। ইদের দিনে লক্ষাধিক মানুষ নয়মৌজা ইদগাহে নমাজ পড়েন। সুজাপুরের মতোই ইংরেজবাজার শহরের সুভাষপল্লি এলাকার ইদগাহ ময়দানেও প্রায় ১৫ হাজার মানুষ একসঙ্গে নমাজ পাঠ করেন।
এখন চলছে রমজান মাস। এই মাসে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা দিনভর রোজা রাখেন। বিকেলে ইফতারের পরে রোজা ভাঙেন তাঁরা। একমাস ধরে রমজান পালন করার পরে আসে খুশির ইদ। ইদে উৎসবের আমেজ ছড়ায় মালদহে। মসজিদগুলি সেজে ওঠে। জোরকদমে চলে তার প্রস্তুতি। তবে এ বার লকডাউনে বদলে গিয়েছে সেই ছবি। এ বার ইদের নমাজও ঘরে বসে পড়ার আহ্বান জানাল জেলার একাধিক মুসলিম সংগঠন।
এ দিন দুপুরে জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে চিঠি দেন আটকোশি আঞ্জুমান আকবরিয়া ইসলামিয়ার সদস্যেরা। ওই সংগঠনের অধীনে শহরের ৩৪টি সমাজ রয়েছে। ইদের নমাজ ঘরে বসে পাঠ করার পাশাপাশি দোকান-বাজার না খুলতেও পুলিশ-প্রশাসনের কাছে চিঠি দেন সংগঠনের সদস্যেরা। সংগঠনের সদস্য আসিফ হোসেন বলেন, “সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মসজিদগুলিতে জুম্মার নমাজও হচ্ছে না। ইদের নমাজও একসঙ্গে নয়, নিজের নিজের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পাঠ করব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ইদের কথা বলে অনেক দোকান-বাজার খুলে দেওয়া হচ্ছে। নতুন পোশাক নয়, পুরনো পোশাকেই আমরা নমাজ পড়তে চাই।” বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy