চলতি মাসেই কোচবিহার বিমান বন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের প্রাথমিক কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়। রবিবার বিকেলে রাজীববাবু কোচবিহারের ওই বিমান বন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ সরোজমিনে ঘুরে দেখেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ১০৬৯ মিটার ছিল। প্রথম পর্যায়ে তা ৬০ মিটার বাড়ানো হয়। তাতেও অবশ্য বড় বিমান চালানোয় সমস্যা মেটেনি। ৩২-৪০ আসনের উড়ান চালুর জন্য অন্তত ১২০০ মিটার রানওয়ে দরকার। তার জেরেই বিমানবন্দর লাগোয়া মরা তোর্সা নদীর গতিপথ বদল করে মাটি ভরাট করে রানওয়ের দৈর্ঘ্য আরও ২৩০ মিটার বাড়ানর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেচ ও পরিবহণ দফতর যৌথ ভাবে ওই কাজের দায়িত্বে রয়েছে। সেচমন্ত্রী রাজীববাবু বলেন, “কোচবিহারে বিমান পরিষেবা চালুর জন্য মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছেন। মাঝারি মানের বিমান নামার জন্য ন্যূনতম রানওয়ের দৈর্ঘ্য কম ছিল। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন আমাদের যা দায়িত্ব তা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে। আমাদের কাজ প্রায় শেষের দিকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করব।” রাজীববাবু এ দিন জানিয়েছেন, এয়ারপোর্ট অথরিটি যাতে নিজেদের কাজও দ্রুত সম্পন্ন করে সেই ব্যাপারেও কথা বলবেন।
তবে কবে থেকে বিমান পরিষেবা চালু হতে পারে, সে ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি রাজীববাবু। তিনি বলেন, “এয়ারপোর্ট চালুর দায়িত্ব আমাদের নয়। রাজ্য সরকারের উপর যে যে দায়িত্ব ছিল, সেটা ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করব।” এ দিন রাজীববাবুর সঙ্গে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, সেচ দফতরের প্রধান সচিব নবীন প্রকাশ প্রমুখ। নবীনবাবু বলেন, “এয়ারপোর্ট অথরিটিকে জুলাই মাসেই জানিয়েছিলাম ডিসেম্বরের মধ্যে নদীর গতিপথ বদল, মাটি ভরাটের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এর উপরে যা কাজ সেটা এয়ারপোর্ট অথরিটি করবে।” সেচ দফতর সূত্রের খবর, নদীর গতিপথ বদল, নির্দিষ্ট জমিতে মাটি ভরাটের কাজের জন্য সাড়ে ৬ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, নব্বইয়ের দশকের পর কোচবিহারে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজ্যে সরকার বদলের পর একাধিকবার কোচবিহার থেকে ছোট বিমান পরিষেবা চালু করা হয়। তাও অবশ্য কিছু দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy