মনোযোগ: রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র হাইস্কুলে মাধ্যমিকের টেস্ট দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। নিজস্ব চিত্র
স্কুল খুললেও কোথাও ৫০, কোথাও আবার মাত্র ৪০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে চলছিল ক্লাস। শহর থেকে গ্রাম, এমনই ছবি মালদহ ও দুই দিনাজপুরের সর্বত্রই। সোমবার মাধ্যমিকের টেস্ট শুরু হতেই তিন জেলারই স্কুলে বাড়ল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। কোভিড বিধি মেনে অনলাইন ছেড়ে ফের ক্লাসে বসে পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি পরীক্ষার্থীরা।
মালদহ
মালদহ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে মাধ্যমিকে ছাত্রীর সংখ্যা ২৬৩ জন। কর্তৃপক্ষের দাবি, টেস্ট দিতে হাজির কার্যত সবাই। ফলে ১৯টি ক্লাসে কোভিড বিধি মেনে এক জন, দু’জন করে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। হবিবপুরের আইহো হাই স্কুলেও টেস্টে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ১০০ শতাংশ, দাবি শিক্ষকদের। তাঁদের দাবি, দীর্ঘমাস পরে স্কুল খুললেও ক্লাসে পড়ুয়াদের উপস্থিতি অনেকটাই কম ছিল। টেস্টে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বাড়ায় স্বস্তিতে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা দফতরের দাবি, জেলায় ২০৫টি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। এ দিন প্রায় ৫০ শতাংশ স্কুলেই টেস্ট শুরু হয়েছে। বাকি স্কুল গুলিতেও দু’দিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে।
উত্তর দিনাজপুর
রায়গঞ্জ: এক বেঞ্চে বসে দু’জন করে পরীক্ষার্থী। নদরদারি চালাচ্ছেন দু’জন করে শিক্ষক। পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন বুঝতে সমস্যা হলে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। মাধ্যমিকের টেস্টের প্রথম দিন এমনই ছবি দেখা গেল রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্রে। প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দত্ত বলেন, ‘‘করোনা আবহের প্রায় দু’বছর ধরে ক্লাসে বসে পড়ুয়ারা পরীক্ষা দেয়নি। তাদের যাতে পরীক্ষা দিতে কোনও সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে।’’ জেলার প্রায় ৩০০ হাইস্কুলের মধ্যে প্রায় ২০০টি স্কুলে টেস্ট শুরু হয়েছে, দাবি শিক্ষা দফতরের। মাস্ক পরেই পরীক্ষা দিয়েছে পরীক্ষার্থীরা।
দক্ষিণ দিনাজপুর
খিদিরপুর হাইস্কুলে মাধ্যমিকে পড়ুয়ার সংখ্যা ১০৩। টেস্ট দিতে হাজির ৬৬ জন পড়ুয়া। ক্লাসের থেকে পরীক্ষায় হাজিরা বাড়লেও ১০০ শতাংশ পড়ুয়াই হাজির না থাকায় উদ্বিগ্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, পড়ুয়াদের বাড়িতে গিয়েও টেস্টে ১০০ শতাংশ হাজিরা করা গেল না। গরহাজির পরীক্ষার্থীদের কি হবে, উঠছে প্রশ্ন। এমনই ছবি গ্রামীণ স্কুলগুলিতেও। শিক্ষা মহলের দাবি, প্রায় ৩০ শতাংশ পড়ুয়া এখন স্কুলছুট। শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রচার হয়েছে। কিন্তু কিছু ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কিছু ছাত্র পরিযায়ী শ্রমিক হয়েছে। তাই কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না।’’ এ দিন জেলার অর্ধেক স্কুলে টেস্ট শুরু হয়েছে। বাকিগুলিতেও চলতি সপ্তাহেই শুরু হবে দাবি শিক্ষা দফতরের।
তথ্য সহায়তা: অভিজিৎ সাহা, গৌর আচার্য, শান্তশ্রী মজুমদার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy