সভায়: আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকায় সভামঞ্চে বিজেপির দুই সাংসদ জন বার্লা ও লকেট চট্টোপাধ্যায় । ছবি: নারায়ণ দে
শহরে জনসভা করার পাশাপাশি বন্ধ চা বাগানে ছুটে গেলেন নেত্রী। তবুও শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কোনও কর্মসূচিতেই সেভাবে ভিড় হল না। জেলার বিজেপি নেতাদের অবশ্য দাবি, স্বল্প সময়ে খুব বেশি প্রচার না করে কর্মসূচিগুলি হওয়াতেই ভিড় খানিকটা কম হয়েছে। এ দিন কালচিনি চা বাগান থেকে বন্ধ বাগানের সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার কথা ঘোষণা করেন লকেট।
লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির শীর্ষ নেতারা একাধিকবার উত্তরবঙ্গে এসে চা বাগান সমস্যার সমাধানের কথা বলেছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনে চা বলয়ে বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা প্রচুর ভোটও পান। নির্বাচনে জিতে এসেই একটি বন্ধ চা বাগান খুলে চমক দিয়েছিলেন বিজেপির আলিপুরদুয়ারের এই সাংসদ। কিন্তু অভিযোগ, তারপর থেকে চা বাগানকে নিয়ে বড় কোনও কর্মসূচি করতে বিজেপিকে দেখা যায়নি। আর তার জেরেই এ দিন দলের মহিলা নেত্রী কালচিনির বন্ধ বাগানে গেলেও, সেখানে হাতে গোনা কিছু শ্রমিক ছাড়া খুব বেশি মানুষকে দেখা যায়নি। ভরেনি মাঠও।
শুক্রবার দুপুরে দলের জেলা পার্টি অফিসে বিজেপি নেত্রী ও মহিলা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন লকেট। বিজেপি সূত্রের খবর, সেখানে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে প্রচার চালাতে দলের কর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল চেয়ে রাজ্য থেকে রাজ্য থেকে ২৫-৩০ লক্ষ পোস্ট কার্ডে চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে। এ দিন সেই কর্মসূচিরও সূচনা করেন লকেট। আলিপুরদুয়ার জংশন নবীন সঙ্ঘের মাঠের জনসভাতে লকেট বলেন, ‘‘সংসদে আগামী অধিবেশনে আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হবে। তারপর অনুপ্রবেশকারীদের বের করে দেওয়া হবে।’’ ওই সভা থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কড়া সমালোচনা করেন লকেট। উত্তরবঙ্গে চা বাগান সমস্যার জন্যও মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেন তিনি।
সভা চলাকালীন মাঠের অবস্থা। শুক্রবার। ছবি: নারায়ণ দে
এ দিন বন্ধ কালচিনি বাগানে লকেট অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী বারবার উত্তরবঙ্গ ঘুরচতে আসেন। কিন্তু এখানকার চা বাগান সমস্যার সমাধানে তাঁকে কিছু করতে দেখা যায়না। আবার কেন্দ্র কিছু করতে গেলে রাজ্য বাধা দেয় বলে অভিযোগ লকেটের। তাঁর কথায়, ‘‘এ জন্যই এ বার আমরা চা বাগান সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব। সংসদেও বাংলার বিজেপি সাংসদরা চা বাগান নিয়ে সরব হবেন।’’
এ দিন কালচিনি চা বাগানের কারখানার সামনে বন্ধ বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করতে যান লকেট। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে হাতে গোনা কিছু শ্রমিকই বাগান বন্ধ নিয়ে তাঁর কাছে নানা অভিযোগ করেন। আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া নবীন ক্লাবের মাঠে লকেটের জনসভাতেও মাঠ প্রায় ফাঁকা ছিল। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা অবশ্য বলেন, ‘‘স্বল্প সময়ে এবং আগাম প্রচার না করে কর্মসূচিগুলি নেওয়াতেই হয়তো লোক একটু কম ছিল। স্থানীয়ভাবে কর্মসূচিগুলি করতে চেয়েছিলাম বলেই প্রচার করিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy