Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Rabindranath Ghosh

পুলিশের বিরুদ্ধে মমতার কাছে নালিশ পুরসভার

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলা শেষ হওয়ার দিন কয়েক আগে থেকে পুরসভা ও পুলিশের মধ্যে ‘বিরোধ’ তৈরি হয়। পুলিশকে না জানিয়েই কিছু বিষয়ে পুরসভা একক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় বলে অভিযোগ।

rabindranath ghosh.

রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৩১
Share: Save:

পুলিশের বিরুদ্ধে এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে কোচবিহার পুরসভার বোর্ড মিটিং করে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভার অভিযোগ, ঐতিহ্যবাহী রাসমেলার শেষ মুহূর্তে ব্যবসায়ী ও পুরকর্মীদের উপরে অত্যাচার করেছে পুলিশ। তা নিয়ে দু’দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মীরা। তাতে শহর জুড়ে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়েছে। রাসমেলার মাঠ, ভবানীগঞ্জ বাজারে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় এ দিন শহরে মিছিল করে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান পুরকর্মীরা। পরে, পুরপ্রধান তাঁদের কাছে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আবেদন করেন।

কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ বলেন, “এ বারের রাসমেলায় পুলিশের একটি অংশের ভূমিকা মোটেই ভাল ছিল না। নিরীহ ব্যবসায়ীদের মারধর করা হয়েছে। তাঁদের জিনিসপত্র নিয়ে দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাব।” তিনি আরও বলেন, “পুরকর্মীদের কাছে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আবেদন করেছি। আশা করছি, বুধবার (আজ) থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”

কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য় আগে এমন অভিযোগ মানতে চাননি। এ দিন নতুন করে তিনি কিছু বলেননি তিনি। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “পুরকর্মীরা যে অভিযোগ করছেন, তা ঠিক নয়। মেলা শেষ হওয়ার পরেও ওই অংশ আটকে কেনাবেচা করা হচ্ছিল। তাতে ভিড় বাড়ছিল। সে জন্যেই সবাইকে দোকান ভেঙে নিতে বলা হয়েছে।”

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলা শেষ হওয়ার দিন কয়েক আগে থেকে পুরসভা ও পুলিশের মধ্যে ‘বিরোধ’ তৈরি হয়। পুলিশকে না জানিয়েই কিছু বিষয়ে পুরসভা একক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় বলে অভিযোগ। তাতে পুলিশের কাজে অনেকটাই সমস্যা তৈরি হয়। পুরসভার পাল্টা দাবি, কোচবিহার রাসমেলার আয়োজন করে পুরসভা। মেলার সূচনা ও সমাপ্তি— দুই পর্বই পুরসভা ঘোষণা করে। সেখানে মেলা শেষ হওয়ার তিন দিন আগে থেকেই মেলার সমাপ্তির কথা জানিয়ে মাইকে প্রচার করে পুলিশ। ২৭ নভেম্বর এ বার মেলা শুরু হয়। কুড়ি দিনের মেলা শেষ হয় ১৬ ডিসেম্বর। ব্যবসায়ীরা মেলার মেয়াদবৃদ্ধির দাবি করলেও, তা মানা হয়নি। অভিযোগ, ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর থেকে পুলিশ দোকান ভেঙে নিতে ব্যবসায়ীদের উপরে চাপ তৈরি করে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy