হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। —ফাইল চিত্র।
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে হর্ষবর্ধন শ্রিংলার বৈঠকের পরে দার্জিলিঙের রাজনৈতিক স্তরে নানা আলোচনা নতুন করে শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেশের প্রাক্তন বিদেশ সচিবের বৈঠক, দলের যোগদানের পরামর্শের পর অনেকটাই চুপচাপ দার্জিলিঙের শ্রিংলা-বিরোধী শিবির। এই পরিস্থিতিতে দার্জিলিঙের আগামী লোকসভা ভোটে দলের প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়েই দলের অন্দরে নানা জল্পনা শুরু হল। ঘটনার জেরে জেলার পাহাড় ও সমতলের দলের শাসক শিবিরের তরফেও দিল্লিতে যোগাযোগ শুরু হয়েছে বলে খবর। আগামী মাসেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তালিকায় দার্জিলিং আসনের পাশে কার নাম থাকবে সেটাই এখন দেখার।
দলের শিলিগুড়ির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের দলে সবাইকে স্বাগত। কিন্তু দলীয় নিয়ম-নীতির মধ্যেই সবাইকে থেকে কাজ করতে হবে। বিভাজনের রাজনীতি করা যাবে না।’’ দলীয় সূত্রের খবর, গত মাসখানেক ধরে দার্জিলিং জেলায় বিজেপি শিবির দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। সাংসদ রাজু বিস্তার নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীতে শাসক দলের বেশিরভাগ নেতানেত্রী আছেন। উল্টো দিকে, বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতানেত্রীরা শ্রিংলার পাশে চলে গিয়েছেন। নিজের তৈরি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে শ্রিংলার বিভিন্ন কর্মসূচি আদতে ভোটের ময়দান তৈরির কাজ বলেই অভিযোগ তোলা হয় দলের শাসক শিবিরের পক্ষে। এমনকি, নিজেকে সম্ভাব্য প্রার্থী বলে শ্রিংলা প্রচার করছেন বলে শাসক গোষ্ঠী অভিযোগ তোলে। রাজু বিস্তা থেকে শুরু করে শঙ্কর ঘোষ, কল্যাণ দেওয়ান, অরুণ মণ্ডলেরা দলের বিভাজন, সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
শ্রিংলার ‘ভূমিপুত্র’ হিসাবে নিজেকে তুলে ধরা নিয়েই দলের নেতারা প্রশ্ন তোলেন। অনেকের অভিযোগ, ‘‘জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শিলিগুড়ি, দার্জিলিংয়ে হয়েছিল। তখন ভূমিপুত্র কাউকে তো ডাকেননি। খোঁজই নেননি। এখন তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসতে চাইছেন।’’ এর পরে গত সপ্তাহে দলের একাংশ কলকাতা, দিল্লিতে বিষয়গুলি জানান। রামপুজোর দিনই দিল্লি থেকে শ্রিংলাকে ডেকে পাঠানোয় কিছু নেতা-কর্মী ভেবেছিলেন, প্রাক্তন বিদেশ সচিবকে দিল্লি ডেকে নিয়ে ‘সংযত’ হতে বলা হবে। কিন্তু অমিত শাহের মতো কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে শ্রিংলার বৈঠকের পর মুখে কুলুপ অনেকেরই।
শ্রিংলার বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধের পর বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, শ্রিংলা শিলিগুড়িতে ফিরলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তিনি ফিরে আসার পর জোরদার ভাবে ময়দানে নেমে পড়লে বুঝতে হবে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনও সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছেন। যদি শ্রিংলা এসে আপাতত গুটিয়ে যান তা হলে বুঝতে হবে শাসক শিবিরের দিকেই পাল্লা ভারী। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। দলের জেলা কমিটির কয়েকজন নেতা জানান, এখনও অবধি প্রতিবার বিজেপি দার্জিলিং কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করেছে। এ বার সেই নিয়মই চলবে, না কি রীতিবদল হবে তাও দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিবেচনায় রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy