Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
TMC

সায়নী ঘোষের উপস্থিতিতেই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা

মাথাভাঙ্গা ১-এ ব্লকের ব্লক সহসভাপতি আলিজা রহমানের গাড়িতেও হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে নজরুল হকের বিরুদ্ধে।

শাসকদলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চেই দোষোরোপের পালা।

শাসকদলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চেই দোষোরোপের পালা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২ ২৩:১৪
Share: Save:

বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষের সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। এ নিয়ে দু’পক্ষে একে অপরের দিকে দোষারোপ করেছে।

মঙ্গলবার মাথাভাঙ্গা ১-এ ব্লকের তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী কর্মসূচি ছিল। দলের প্রবীণ নেতা তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ ভাষণ দেওয়ার সময় তৃণমূলের মাথাভাঙ্গা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নজরুল হক মঞ্চে উঠে তাতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

মাথাভাঙ্গা ১-এ ব্লকের ব্লক সহসভাপতি আলিজা রহমানের গাড়িতেও হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে নজরুল হকের বিরুদ্ধে। নজরুলের অভিযোগ, ‘‘আব্দুল জলিল আহমেদ নিজের ভাষণে মাথাভাঙ্গা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি মুজিরুল হোসেন, মাথাভাঙ্গা ১-এ ব্লকের সহসভাপতি আলিজা রহমান, জিতেন বর্মণের সঙ্গে আমার তুলনা করেছেন। মুজিরুল হোসেন টাকার বিনিময়ে দলের পদ বিক্রি করেছেন। নির্বাচনে তাঁদের দেখা পাওয়া যায় না। তাঁদের সঙ্গে আমার তুলনা করায় আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি।’’ যদিও আব্দুল জলিলের বক্তব্য, ‘‘মূলত আলিজা রহমান, মজিরুল হোসেন, হিতেন বর্মণের বিরুদ্ধে নজরুল হকের ক্ষোভ ছিল। নজরুল হক হঠাৎ করেই মঞ্চে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। এই ঘটনা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। নজরুল হকের যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তা হলে জেলা নেতৃত্বকে জানাতে পারতেন। এ ভাবে প্রকাশ্যে মঞ্চে উঠে গন্ডগোল করা উচিত হয়নি। এই বিষয়ে ব্লক নেতৃত্ব নিশ্চয়ই জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যানকে জানাবেন। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যান নেবেন।’’

গোটা ঘটনায় মুখ খুলেছেন আলিজা রহমানের অভিযোগ, ‘‘আব্দুল জলিল আহমেদ কোনও খারাপ কথা বলেননি। তিনি বলেছেন, ‘সকলকে মঞ্চে দেখে ভাল লাগছে।’ কিন্তু সায়নী ঘোষের উপস্থিতিতেই তিনি গন্ডগোল শুরু করেন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘অনুষ্ঠান থেকে যখন বাড়ি ফেরার পথে আমার গাড়িতে হামলা চালানো হয়। আমাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় সেখান থেকে বেরিয়ে আসি।’’

তৃণমূলের কর্মসূচিতে এই গন্ডগোল নিয়ে অবহত নন বলে দাবি করেছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ। তিনি বলেন, ‘‘জেলা সভাপতি এবং আমি দু’জনেই হলদিবাড়িতে ছিলাম। তাই বিষয়টি কী ঘটেছে, তা সম্পূর্ণ জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে তার পর মন্তব্য করব।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC inner conflict Saayoni Ghosh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy