সরব: রেজিস্ট্রারকে ঘিরে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের বাইরে ‘ঘেরাও’ করা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরিকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক তালাবন্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া শিক্ষাকর্মীরাই এ দিন রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করে রাখেন। সঙ্গে চলে তুমুল বিক্ষোভ। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মূল ফটকের বাইরে, ঘেরাও-বিক্ষোভ চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে আসার আগেই এ দিন রেজিস্ট্রার দু’টি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। একটি বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের পরবর্তী সরকারি নির্দেশ না আসা পর্যন্ত নির্দিষ্ট বেতনের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন ভাতা হিসেবে প্রতি মাসে আরও চার হাজার ২০০ টাকা করে দেওয়ার কথা জানানো হয়। অন্য বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনকারী শিক্ষাকর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিতে বলা হয়।
তবে দু’টি বিজ্ঞপ্তির সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ আন্দোলনকারী শিক্ষাকর্মীরা। তাঁদের দাবি, চাকরি স্থায়ীকরণ ‘রোপা ২০১৯’-এর এন্ট্রি লেভেল গ্রুপ অনুযায়ী তাঁদের বেতন দিতে হবে।
চাকরি স্থায়ী করা-সহ ১০ দফা দাবিতে গত নভেম্বর থেকে টানা এক মাস বিশ্ববিদ্যালয় কর্মবিরতি পালন করেছিলেন ১২১ জন অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী। শিক্ষাকর্মীদের বক্তব্য, সে সব দাবি পূরণ না হওয়ায় ফের তাঁরা গত সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। অভিযোগ, সোম ও মঙ্গলবার মূল ফটকের বাইরে বিক্ষোভের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আধিকারিকদের ঘেরাও করে রাখা হয়। বুধবারও একই ভাবে গেটের বাইরে আন্দোলন চলে। বৃহস্পতিবার ফের সকাল ১০টা থেকে মূল ফটকের বাইরে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এ দিন বেলা ২টো নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে যান রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি। অভিযোগ, তাঁকে গেটের বাইরেই ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন শিক্ষাকর্মীরা। বিপ্লব বিভিন্ন নথি সামনে এনে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। এ দিন জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তির কথাও জানান। তাঁদের কাজে ফেরার কথাও বলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবিতে অনঢ় ছিলেন। রাত গেটের বাইরে রেজিস্ট্রারকে ঘিরে বসে ছিলেন শিক্ষাকর্মীরা।
বিপ্লব বলেন, ‘‘সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বাইরে আমার কিছু করার নেই।’’ তিনি জানান, অস্থায়ী কর্মীদের অন্তর্বর্তীকালীন ভাতা হিসেবে প্রতি মাসে চার হাজার ২০০ টাকা করে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আন্দোলন তুলে তাঁদের কাজে যোগ দিতে অনুরোধও করা হয়
‘সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি’-র গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শুভায়ু দাস বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তীকালীন ভাতা চাই না। চাকরির স্থায়ীকরণ চেয়েছি। রোপা ২০১৯ অনুযায়ী বেতন দেওয়ার দাবিও জানিয়েছি। রেজিস্ট্রার সেই দাবি না মানা পর্যন্ত ঘেরাও আন্দোলন চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy