—ফাইল ছবি
বাগানে কাজ বন্ধ করে কোনও আন্দোলন নয়, নয় কোনও গেট মিটিং। সমস্যা হলে আলোচনা হবে টেবিলে— এই শর্তেই ২০ শতাংশ হারে রাজ্যের চা শ্রমিকদের পুজোর বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। শুক্রবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দফার ভার্চুয়াল বোনাস বৈঠক শুরু হয়। টানা বৈঠকের পরও মালিকপক্ষের যৌথ সংগঠন দ্য কনসালটেটিভ কমিটি অব প্ল্যান্টেশন অ্যাসোসিয়েশনের (সিসিপিএ) তরফে চেয়ারপার্সন নয়নতারা পালচৌধুরী ২০ শতাংশ হারে এবারের বোনাসের ঘোষণা করে দেন। অতীতে টানা ৮-১০ দফার বৈঠকের অভিজ্ঞতা থেকে বার হয়ে এসে মাত্র দু’দিনেই বোনাস চুক্তি হওয়ায় খুশি দুই পক্ষই। আজ, শনিবার দার্জিলিং পাহাড়ের ৮৬টি বাগানে প্রতিবারের মতো আলাদা করে বোনাস বৈঠক হবে।
তবে বোনাস চুক্তিতে বাগানে গেটে বা উৎপাদন নষ্ট করে আন্দোলন করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘বাগানের কাজের পরিবেশ বজায় রাখতেই হবে। বোনাস চুক্তিতে তার উল্লেখ রেখেই এ বারে ২০ শতাংশ বোনাস ঘোষণা করা হল। ডিসেম্বর মাস থেকে পাতা তোলা বন্ধ থাকবে। তাই এই ক’দিনের উৎপাদনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। সবাইকে বিষযটি মাথায় রাখতে হবে।’’
বাগানের শ্রমিক নেতারাই বলছেন, বিধানসভা ভোটের আগের এটাই শেষ বোনাস। পরের বার বোনাসের সময় ভোট হয়ে যাবে। তাই মালিকপক্ষের উপর বিভিন্ন স্তর থেকে চাপ রয়েছে। দুই তরফ বিগত দিনের অনমনীয় মনোভাব ছেড়ে মাত্র দুই দিনের বৈঠকে সহমতে পৌঁছেছে। তা ছাড়া ডুয়ার্স-তরাই থেকে তৈরি চায়ের দাম ভাল রয়েছে। গত বছর ১৪০-১৪৫ টাকা কেজি দরের চা পাতা এবার ২৫০ টাকা কেজিতেও বিক্রির নজির রয়েছে। করোনার জন্য মার্চ থেকে প্রথম তিন মাস সমস্যা হয়েছে। মার খেয়েছে ফার্স্ট ফ্লাসের চা পাতা। বাগান খুলতে ভাল বাজার সামনে এসেছে। বাগানের রোজগার ঠিক থাকায় দু’দিনেই মালিকপক্ষ ২০ শতাংশে রাজি হয়েছে।
তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা নির্জল জে বলেন, ‘‘বাগানে বাগানে পাতার দাম ভাল উঠছে। তাই মালিকপক্ষে কর্ম সংস্কৃতি ঠিক রাখার উপরে জোর দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলেই শ্রমিকেরা এত হারে বোনাস পাচ্ছেন।’’
রাজ্যে তৃণমূলের সরকার আসার পর ২০১১-২০১৬ সাল অবধি চা বাগানের শ্রমিকেরা পুজোয় ২০ শতাংশ হারে বোনাস পেয়েছেন। ২০১৭ সাল থেকে বোনাসের শতাংশ কমতে শুরু করে। গত বছর ১৮.৫০ শতাংশ হারে বোনাস হয়।
পাহাড়ে অবশ্য বরাবর বোনাস চুক্তি আলাদা থাকে। তারা গতবারেও ২০ শতাংশ হারেই বোনাস পেয়েছে, তবে দু’ভাগে ভাগ করে। একাধিক শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চের নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ সমন পাঠক বলেন, ‘‘সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। তবে পুজোর আগে সব বাগানে যাতে ঠিকঠাক বোনাস দেওয়া হয়, সেটাও সুনিশ্চিত করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy