প্রতীকী ছবি
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দলের চা শ্রমিক ইউনিয়নগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তৃণমূলে। কিন্তু দলীয় সূত্রের খবর, সেই সংগঠনের রাশ কাদের হাতে থাকবে তা ঠিক করতে চা বলয়ে আলাদা আলাদা ভাবে সদস্যপদ সংগ্রহের মাধ্যমে পাঁচটি শ্রমিক সংগঠনের শক্তি যাচাই করতে চাইছে দল।
তবে তৃণমূল নেতাদের একাংশের মতে, এর মাধ্যমে গত লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে দলের ভরাডুবির পর এই মুহূর্তে বাগানগুলিতে চা শ্রমিক নেতা মোহন শর্মার কতটা প্রভাব রয়েছে তারও পরীক্ষা করে নিতে চাইছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। যা নিয়ে দলের অন্দরে চলছে জোর চর্চা।
তৃণমূল সূত্রের খবর, দলে এই মুহূর্তে পাঁচটি চা শ্রমিক সংগঠন রয়েছে। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে যে সংগঠনগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই গোটা প্রক্রিয়ায় জোর দেওয়া হয়।
শুক্রবার শিলিগুড়িতে তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। সেইসঙ্গে দলের অন্দরে থাকা পাঁচটি শ্রমিক সংগঠনকে আলাদা আলাদা ভাবে চা বলয়ে সদস্যপদ সংগ্রহ করার কথা বলা হয়। দলের একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর সদস্যপদ সংগ্রহের মাধ্যমে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে চা বলয়ে দলের সাংগঠনিক শক্তি কতটা রয়েছে তাও মেপে দেখতে চাইছেন তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। সেইসঙ্গে এই নির্দেশের মাধ্যমে পাঁচটি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে কার শক্তি কতটা তাও যাচাই করে নিতে চাইছে দল।
দলের অন্দরে চা শ্রমিক নেতা হিসেবে পরিচিত মোহনের নেতৃত্বেই গত লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে লড়াই করেছিল দল। সেই সময় দলের জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মোহন। পাশাপাশি অনেক আগে থেকেই চা বাগান তৃণমূল মজদুর ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। তারপরও লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারের মতো চা বলয় অধ্যুষিত কেন্দ্রে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে দলকে হারতে হয়।
জেলায় তাঁদের শ্রমিক সংগঠন বাকি চারটির তুলনায় শক্তিশালী। কিন্তু সদস্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে বাগানে এই মুহূর্তে তাঁদের প্রভাবও শীর্ষ নেতৃত্ব পরীক্ষা করে দেখতে চাইছেন বলে মত মোহন-ঘনিষ্ঠ নেতাদের একাংশের।
যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “এটা কোনও পরীক্ষা নয়। সদস্যপদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে যাঁরা এগিয়ে থাকবেন, চা শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে তাঁদের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।”
মোহন নিজে অবশ্য বলেন, “দলনেত্রীর নির্দেশ আমাদের কাছে শিরোধার্য। তাঁর নির্দেশে সদস্যপদ সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy