ধূপগুড়িতে উপনির্বাচনের প্রচারে পদযাত্রা শুভেন্দু অধিকারীর। বুধবার। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।
ধূপগুড়িতে ভোট প্রচারে এসে ‘সাগরদিঘি’র প্রসঙ্গ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সন্ধ্যেয় দুরামারিতে একটি জনসভায় সাগরদিঘি প্রসঙ্গ মনে করিয়ে শুভেন্দু বললেন, “ধূপগুড়িতেও আপনাদের (তৃণমূলকে) হারাতে হবে।” সম্প্রতি সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে কংগ্রেস-বাম জোটের প্রার্থী জিতেছিলেন। পরে তিনি অবশ্য দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেন। ধূপগুড়িতেও বাম-কংগ্রেস জোট রয়েছে।
এ দিন ধূপগুড়ি শহরে প্রথমে মিছিল করেন শুভেন্দু, পরে দুরামারিতে জনসভায় তিনি বলেন, “যেখানে কেন্দ্রের পুলিশ দিয়ে ভোট হচ্ছে সেখানে তৃণমূল জিততে পারছে না। সাগরদিঘিতে ভোট হয়েছিল। টাকার সিন্ডিকেট ধরা পড়ার পরে। সাগরদিঘিতে হেরেছে, ধূপগুড়িতেও আপনাদের হারাতে হবে।“
তৃণমূল নেতারা অবশ্য মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত বিধানসভা ভোটও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছে এবং তারপরে দিনহাটার বিধানসভার উপনির্বাচনও হয়েছে। সেখানে উদয়ন গুহ রেকর্ড ব্যবধানে জিতেছিলেন। ধূপগুড়ির একশো শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু। এ দিনই ধূপগুড়িতে বাহিনীর প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেন, “ধুপগুড়ি নির্বাচনে ৪০ কোম্পানির বাহিনী এলে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হবে। জেলাশাসক, পুলিশ সুপাররা সব তৃণমূলের দলদাস।” ধূপগুড়িতে তৃণমূলের নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের পাল্টা কটাক্ষ, “২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে। ২০২১ সালে আট দফায় ভোট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী তো আর ভোট দেয় না।“
এ দিন সভায় উত্তরবঙ্গ বঞ্চনার প্রসঙ্গও টেনেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “ভাইপো বলছে উত্তরবঙ্গ বলা যাবে না। উত্তরবঙ্গের নাম-নিশানা মিটিয়ে দিতে হবে।” ধূপগুড়িতে জাতি সমীকরণে বিজেপি ভোটে জেতার অঙ্ক কষছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এ দিন শুভেন্দু বলেন, “বিজেপি একটা রাজ্যসভার সাংসদ পেয়েছিল, অনন্ত মহারজকে পাঠিয়েছে। মতুয়ার সংঘপতি শান্তনু ঠাকুরকে মোদী মন্ত্রিসভায় জায়গা করে দিয়েছেন। আমাদের মোদীজি জনজাতির প্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি করেছেন।” এ দিন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের নাম উচ্চারণ না করে শুভেন্দু বলেন, “বিজেপিকে যেদিন ক্ষমতায় আনবেন প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে মা-বোনেদের ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেব। কথা দিচ্ছি আমরা। বিজেপি ৩০ লক্ষ রাজ্য সরকারি কর্মীপদে নিয়োগ করবে এক বছরের মধ্যে। বিজেপি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেবে। আশাকর্মী, আইসিডিএস, সিভিক, জিআরপি সব কাজে সমবেতন চালু করবে।”
প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “বিভিন্ন জনজাতি মানুষ, ভাষাভাষীর মানুষ এ রাজ্যে সুখে আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মূল্যবৃদ্ধির চাপ সাধারণ মানুষকেই সামলাতে হচ্ছে। তা ছাড়া রাজ্যে সরকার তৃণমূলের থাকবে। তৃণমূলের প্রার্থী জিতলে সহজেই প্রচুর উন্নয়নের কাজ করতে পারবে। সে কথা ধূপগুড়ির মানুষ জানেন।” এ দিন তৃণমূলের হয়ে প্রচার চালিয়েছেন রাজ্য যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সায়নী বলেন, “একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। রাস্তা তৈরির টাকা দিচ্ছে না। সবই আটকে দিয়েছে মোদী সরকার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy