তিন নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান সুজয় ঘটকের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করলেন মেয়র। তার ফলে শিলিগুড়ি পুরসভার ওই বরোতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে সুজয়বাবুর সঙ্গে ফের কথা বলেন মেয়র। সুজয়বাবু ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তে স্থির রয়েছেন জানার পরেই মেয়র তার ইস্তফাপত্র গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানান।
গত ২ জানুয়ারি সুজয়বাবু ইস্তফা দিতে চাইলেও ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি মেয়র। ৪৭ আসনের পুরসভায় ২২ জন কাউন্সিলর থাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় বামেরা। কংগ্রেসের সমর্থন জরুরি হয়ে পড়ে। চেয়ারম্যান না থাকায় বরো কমিটির কোনও বৈঠক হচ্ছিল না। তাতে অনেক কাজকর্মে সমস্যা হচ্ছে বলে বিরোধী তৃণমূল তা নিয়ে অভিযোগ তোলে। ৩১ মার্চের মধ্যে সমস্যা মেটানো হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন। বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার কাউন্সিলরদের নিয়ে গিয়ে মেয়রকে জানিয়ে দিয়েছেন শুক্রবারের মধ্যে ওই বরো চেয়ারম্যানের নির্বাচনের বিষয়টি ঘোষণা না-করা হলে তাঁরা লাগাতার আন্দোলনে নামবেন।
মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘সৌজন্যবশত এ দিন সুজয়বাবুর সঙ্গে ফের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। তিনি বরো চেয়ারম্যান পদে থাকবেন না জানালে এ দিন তাঁর ইস্তফা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার মেয়র পারিষদদের বৈঠকেও বিষয়টি জানিয়ে ওই বরোতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ পুর কর্তৃপক্ষই জানান, নিয়ম মেনে সাত দিন আগে নোটিস জারি করে বরো চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে হয়। তবে চেয়ারম্যান না-থাকলে যে সমস্যা হচ্ছে তা মেটাতে আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করার কথাই ভাবা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র। বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘শুক্রবারের মধ্যে ওই বরোর চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচন ঘোষণা না-করা হলে সোমবার থেকে আন্দোলন হবে।’’
৩ নম্বর বরোর অধীনে ১০ টি ওয়ার্ড রয়েছে। তার মধ্যে ১৭, ১৮, ২০, ২৩ তৃণমূলের দখলে। দুটি ওয়ার্ড ১৬ এবং ২১ এ কংগ্রেসের কাউন্সিলর। বাকি চারটি ১৯, ২২, ২৪ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ড সিপিএমের দখলে। সিপিএম-এর সমর্থন নিয়ে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজয়বাবু বরো চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। সুজয়বাবু এ দিন বলেন, ‘‘মেয়র বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাওয়ায় এ দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করেছি ওই পদে ফিরে যাওয়ার ব্যাপার নেই। তিনি প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নিন।’’
বরাদ্দে বৈষম্যের অভিযোগ তোলার পর নৈতিক ভাবে বামেদের সমর্থনে বরো চেয়ারম্যানের পদে তিনি থাকতে চাননি বলেই ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে কংগ্রেসের ওয়ার্ডগুলোর জন্য উন্নয়ন কাজে বরাদ্দ দেন মেয়র। সম্প্রতি পুরসভার বাজেট পাশ করাতে পুরসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা সুজয়বাবুর কাছে চিঠি দিযে সমর্থন চান মেয়র। শর্ত সাপেক্ষে কংগ্রেসের সমর্থনে বাজেট পাশও হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy