অনড়: অনলাইন পরীক্ষার দাবি জানিয়ে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ চতুর্থ বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের। সোমবার। ছবি: স্বরূপ সাহা।
স্নাতকোত্তর স্তরের দু’টি সিমেস্টারের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার দাবিতে সোমবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালেন একদল স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়া। এ দিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামকের দফতরের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখান। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, স্নাতকোত্তর স্তরের কোনও বিষয়ের পাঠক্রম কোনও রকমে শেষ করা হয়েছে, আবার কোনও বিষয়ে পাঠক্রম শেষ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে অফলাইনে পরীক্ষা দেওয়া কোনও মতেই সম্ভব নয় তাঁদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগ জানিয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হচ্ছে।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজগুলির স্নাতক স্তরের পরীক্ষা অনলাইন ও অফলাইন এই দুই পদ্ধতিতেই নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বারে স্নাতকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা অনলাইন না অফলাইনে হবে তা নিয়ে গত ১০ জুন বৈঠকে বসেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে হাজির থাকা ৩২ জন সদস্যের মধ্যে ২৭ জন-ই অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করেন।
সেই সুপারিশ মোতাবেক সে দিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগ স্নাতকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা আগামী ১১ জুলাই থেকে নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেন। কিন্তু অফলাইনের পরিবর্তে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগ ঘেরাও করল একদল পড়ুয়া।
পড়ুয়াদের পক্ষে ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ সিমেস্টারের ছাত্র আব্দুল হাকিদ বলেন, ‘‘মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে আমাদের অফলাইন ক্লাস শুরু হয়েছিল। এর পর ডিজ়ারটেশন ও টার্ম পেপারের কাজের জন্য সেখানেই সময় চলে যায়। এছাড়া পাঠক্রম সংক্ষিপ্তভাবে আমাদের পড়ানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অফলাইনে পরীক্ষা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’’ আর এক ছাত্রী হীরা খান বলেন, ‘‘আমাদের পাঠক্রম এখনও শেষ হল না। হস্টেলের ব্যবস্থা নেই। আইকার্ড পর্যন্ত দেওয়া হয়নি অথচ পরীক্ষার কথা বলা হচ্ছে। আমরা অনলাইনেই পরীক্ষা দিতে চাই।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের দাবি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। যদিও ১১ জুলাই থেকে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি আমরা দিয়েছি। তাতে এখনও প্রায় একমাস সময় পাচ্ছেন পড়ুয়ারা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy