রঞ্জন মিশ্র। নিজস্ব চিত্র
অভাবের সংসারে বিদ্যুতের বিল মেটানো হয়ে ওঠেনি। নয় মাস বাকি পড়েছিল বিলের টাকা। বিদ্যুত বণ্টন সংস্থার কর্মীরা লাইন কাটতে এলে মাত্র তিনদিন সময় চেয়েছিল ছাত্রের পরিবার। ২০ ফেব্রুয়ারি সিবিএসই বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষা শুরু। বাড়ির ছেলের পরীক্ষা দিতে সমস্যা হবে বলে কাকুতি-মিনতিও করেছিল পরিবার। তাতে কাজ হয়নি, লাইন কেটে দিয়েছিলেন দফতরের কর্মীরা। পরে ঘটনার কথা জেনে গ্রামসভার সদস্য বকেয়া মেটানোয় লাইন জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এর মাঝে দুই রাত জেগে স্থানীয় ক্লাবে পড়াশোনা করতে হয়েছে ওই পরীক্ষার্থী রঞ্জন মিশ্রকে।
ফুলবাড়ি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের কাঞ্চনবাড়ি এলাকার ঘটনা। রঞ্জন ফুলবাড়ির এইচবি বিদ্যাপীঠের ছাত্র। তার বাবা ২০১০ সালে দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁর জায়গায় রঞ্জনের মা রঞ্জনের মা রঞ্জুদেবী একটি বেসরকারি সংস্থায় ঠিকাকর্মী হিসেবে কাজ পান। কয়েক মাস হল তাঁর মাইনে এক চতুর্থাংশ হয়ে গিয়েছে। তার জেরেই বাকি পড়ে যায় বিল। রঞ্জন বলেন, ‘‘দিনে কিছু কাজ করে পরিবারকে সাহায্য করতে হয়। রাতেই পড়ার সুযোগ মেলে।’’ তার দাদা রাজেশও কাজ করে পড়াশোনা করে।
কাঞ্চনবাড়ি গ্রামসভার নির্বাচিত সদস্য হীরেন রায় বলেন, ‘‘এ ভাবে লাইন কাটা উচিত হয়নি।’’ হীরেন বকেয়া ২৮০০ টাকা সংস্থার দফতরে জমা করলে সোমবার দুপুরের পরে জোড়া হয় সংযোগ। বিদ্যুৎ দফতরের উত্তরবঙ্গের জোনাল ম্যানেজার শিবেশ দেব বলেন, ‘‘এমনিতে এরকম বললে কয়েকদিন সময় দেওয়ার কথা। বিষয়টি খোঁজ নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy