Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

চাঁচলে সাত ঘণ্টা ঘেরাও অধ্যক্ষ

অর্ধেকেরও বেশি খালি পড়ে থাকা বিভিন্ন বিষয়ের অনার্সের আসনে ভর্তির দাবিতে চাঁচল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।

চাঁচল কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ঘরে ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ।

চাঁচল কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ঘরে ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:০৩
Share: Save:

অর্ধেকেরও বেশি খালি পড়ে থাকা বিভিন্ন বিষয়ের অনার্সের আসনে ভর্তির দাবিতে চাঁচল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।

ওই ঘটনাকে ঘিরে বুধবার দুপুর থেকে তেতে ওঠে মালদহের চাঁচল কলেজ। প্রথমে দুপুর দেড়টা থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত অধ্যক্ষকে তার দফতরে আটকে রেখে বিক্ষোভ চলে। কিছুক্ষণের জন্য অনশনও করে ছাত্ররা। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অনশন তুলে নেয় তাঁরা।

অনলাইন পদ্ধতিতে ভর্তি হতে গিয়ে পড়ুয়াদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে গত ১ সেপ্টেম্বর একই দাবিতে অধ্যক্ষকে সাত ঘন্টা ধরে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। তখন সমস্যা মেটানো হবে বলে আশ্বাস দেওয়ার পরেও তা না হওয়ায় এদিন ফের বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নামতে হয়েছে বলে দাবি ছাত্র পরিষদের। দুপুর থেকে ওই ঘটনাকে ঘিরে কলেজ তেতে থাকলেও ঘটনার কথা জানা নেই বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য় গোপাল মিশ্র বলেন, ‘‘কলেজের তরফে এ বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

তবে কলেজের প্রশাসক বিকাশ রায় বলেন, ‘‘এদিনই অধ্যক্ষ আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কি কারণে অনার্সে এত আসন খালি পড়ে থাকল তা অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। সব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীদের যাতে ক্ষতি না হয় তা আমরা দেখব।’’

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকেই অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কলেজ ভিত্তিক ফর্ম পূরণ করার পর তালিকাও অনলাইনেই দেওয়া হয়েছে। ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, অনলাইনে যে তথ্য আপলোড করা রয়েছে তা ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। যার জেরে অনেক ক্ষেত্রেই কোনও ছাত্রের অনার্সে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর দেখা গিয়েছে যে তার ভর্তি হয়েছে পাস কোর্সে। আর এই সমস্যায় ছাত্রছাত্রীরা ভয়ে ভর্তি হতে না পারায় বাংলা অনার্সে ৫২টি, সংস্কৃতে ৩৭টি, ইতিহাসে ৩০টি, দর্শনে ৪৫টি, একাউন্টেন্সিতে ১১৩টি, অঙ্কে ৩০টি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৫৫টি, ইংরেজিতে ৪২টি আসন খালি পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ।

কলেজে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ ফিরদৌস ইসলাম বলেন, ‘‘সমস্যা না মেটা পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’’

ছবি: বাপি মজুমদার।

অন্য বিষয়গুলি:

Malda College Principal college online
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE