Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

ক্রেতা ধরতে গাড়ির দামে বড় ছাড়

অনিরূদ্ধের কথায়, “পুজোর আগে সাধারণত ছোট গাড়িতে ২০ হাজার টাকার ছাড় থাকে, এ বছর ৪০ হাজারও ছাড় দিচ্ছে।” বাজার সে তুলনায় বেশি বাড়ছে না বলে দাবি অনেকেরই। কদমতলার গাড়ি বিপণন সংস্থাটি গত বছরে যা বিক্রি হয়েছিল তা ছুঁতে পারবে কি না সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে। 

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৪১
Share: Save:

বিক্রির চাঙা রাখতে গাড়ির ঋণের উপরে ছাড় বাড়ানোর কথা ভাবছেন কিছু ডিলার। আপাত দৃষ্টিতে একে বিক্রির নতুন উপায় বলে মনে হলেও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই সিদ্ধান্তের তাৎপর্য যথেষ্ট। তাঁদের দাবি, এই ঘটনা প্রমাণ করছে সাধারণ মানুষের হাতে নগদ অর্থ কমেছে, অথবা বাসিন্দারা হাতে থাকা নগদ অর্থ খরচ করতে চাইছেন না। দুই উপসর্গই অর্থনীতির পক্ষে ভাল নয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

জোরদার বিপণন কৌশলে শহরের অসম মোড় লাগোয়া গাড়ির ডিলার সংস্থা এ বছরও তাদের বিক্রি ধরে রাখতে পেরেছে বলে দাবি করছে। যদিও শহরের কদমতলার অরেকটি গাড়ি সংস্থার দাবি, এ বছর পুজোর আগে বিক্রি কমেছে অন্তত ২০ শতাংশ।

গাড়ি সংস্থার সঙ্গে যুক্তদের দাবি, বছরে তিনটে সময়ে বাজারে তেজি আসে। পুজোর আগে, ধনতেরাসের সময় এবং ডিসেম্বরে। এই তিনের মধ্যে পুজোর আগের এই সময়টাই সব থেকে তেজি বলে ধরা হয়। শিরিষতলায় শো-রুম থাকা গাড়ির ডিলার সংস্থার জলপাইগুড়ি শাখার বিক্রিতে এখনও পর্যন্ত সাত শতাংশ বৃদ্ধি এসেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও সংস্থার তরফে দাবি, এই বৃদ্ধি আরও বেশি হতে পারত।

সংস্থার জলপাইগুড়ি শাখার বিক্রয় ম্যানেজার অনিরূদ্ধ সরকারের কথায়, “আমরা এখন গাড়ি কিনে রাস্তায় নামাতে যে খরচ হয়, তার পুরোটার উপরে ঋণ নিয়ে কিস্তিতে পরিশোধের ব্যবস্থা করেছি বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে কথা বলে। পুজোর আগে বিপুল ছাড়ও হচ্ছে। আমাদের বিপণন এজেন্টরা ছুটে বেড়াচ্ছেন। সব মিলিয়ে বিক্রি আরও বাড়তে পারত।”

তাঁর দাবি, পুজোর আগে এ বছরের মতো বিপুল পরিমাণ ছাড় আগে তিনি দেখেননি। অনিরূদ্ধের কথায়, “পুজোর আগে সাধারণত ছোট গাড়িতে ২০ হাজার টাকার ছাড় থাকে, এ বছর ৪০ হাজারও ছাড়
দিচ্ছে।” বাজার সে তুলনায় বেশি বাড়ছে না বলে দাবি অনেকেরই। কদমতলার গাড়ি বিপণন সংস্থাটি গত বছরে যা বিক্রি হয়েছিল তা ছুঁতে পারবে কি না সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে।

পুজোর আগেও ক্রেতাদের তেমন দেখা মিলছে না বলে দাবি। সংস্থার ম্যানেজার প্রবীর পালের মন্তব্য, “কুড়ি শতাংশ বিক্রি কমেছে। এমন যদি চলতে থাকে তবে ব্যয়সঙ্কোচও করতে হবে। গোটা বাজারেই সেই প্রভাব পড়বে।”

আগে শুধুমাত্র গাড়ির কাঠামোর অংশের যে দাম তার ওপরেই ব্যঙ্ক ঋণ দিত। বাকিটা ক্রেতাদের নিজেদেরই জোগাড় করতে হতো। নগদ সঙ্কটে ক্রেতাদের সংখ্যা কমতে থাকে। ক্রেতা ধরে রাখতে গাড়ির পুরো দামের ওপরেই ঋণের বন্দ্যোবস্ত হয়েছে। বিপণন সংস্থার দাবি, এমনও উপায় রয়েছে, এক টাকাও নগদ না দিয়ে গাড়ি বাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। পুজোর বাজারে জলপাইগুড়ির গাড়ি-বাজারে ক্রেতার ভিড়ে বেশ ভাটা মানছেন সব সংস্থাই।

অন্য বিষয়গুলি:

Automobile industry
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy