ফাইল চিত্র।
গর্ভবতী মহিলারা দুয়ারে সরকার শিবিরে পৌঁছতে পারেননি। ফলে লক্ষ্মী ভান্ডার-সহ একাধিক প্রকল্পে তাঁরা আবেদন করতে পারছেন না। সেই খবর পেয়ে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের আবেদন পত্র জমা নিতে প্রশাসন উদ্যোগী হল। সোমবার, চাকুলিয়ার লালগঞ্জ এলাকায় এক আদিবাসী গর্ভবতী মহিলার বাড়ি পৌঁছে যান ইসলামপুরের মহকুমাশাসক সপ্তর্ষি নাগ, গোয়ালপোখর ২ বিডিও কানাইকুমার রায় এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের একটি দল। ওই গ্রামের দুই আদিবাসী গর্ভবতী মহিলার হাতে জনজাতির শংসাপত্র তুলে দিলেন তাঁরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আধিকারিকরা ওই গ্রামের সাবিত্রী হেমব্রম ও মঞ্জুলী মার্ডির বাড়িতে গিয়ে আবেদন পত্র সংগ্রহ করেন। এক ঘণ্টার মধ্যে নথিপত্র যাচাই করে জনজাতি শংসাপত্র তুলে দেন তাঁদের হাতে। সেই সঙ্গে লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন পত্র জমা নিলেন আধিকারিকরা।
এ দিনই ওই ব্লকের ঝাংগরটুলি গ্রামে আর-এক গর্ভবতী মহিলার বাড়িতে প্রশাসনিক আধিকারিকরা লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন পত্র জমা নিলেন। সায়েদা খাতুন নামে ওই মহিলার আবেদন পত্র পূরণ করে দিলেন খোদ মহকুমাশাসক।
হাতে ‘কাগজ’ পেয়ে সাবিত্রী বললেন, ‘‘এই কাগজের জন্য কত ছুটেছি। বহু জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছি। কিন্ত আজকে বাড়ির উঠোনে স্যরেরা এসে এক ঘণ্টার মধ্যে সেই শংসাপত্র তুলে দেবেন ভাবতেই পারিনি।’’ খুশি মঞ্জুলীও। তাঁর কথায়, ‘‘এই কাগজটা না থাকায় অনেক সরকারি সুযোগ সুবিধা মিলছিল না। এ বার সব পাওয়া যাবে।’’
অন্যদিকে ঝাংগরটুলি সায়েদা বলেন, ‘‘অফিসারেরা এসে আমাদের হাতে চা খেলেন, সমস্যার কথা শুনলেন। আমার কাগজটায় নিজেরাই লিখে দিলেন। খুব ভাল লাগছে।’’
খানাখন্দে ভরা ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে প্রশাসনের কর্তাদের দুই গ্রামে দুই বাড়িতে যেতে হল। তারপরেই স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তাদের ডেকে প্রশাসনিক কর্তারা এ দিন নির্দেশ দিলেন, ‘দ্রুত রাস্তাটা ঠিক করুন’।
ইসলামপুরের মহকুমাশাসক সপ্তর্ষি নাগ বলেন, ‘‘সাবিত্রীদের খবরটা পেয়ে আমারা ঠিক করি, বাড়িতে গিয়েই পরিষেবা দেব। গোয়ালপোখর ২ বিডিও এবং সহকর্মীদের সাহায্যে এক ঘণ্টার মধ্যে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy