প্রতিবন্ধীদের ট্রাইসাইকেল ও ক্রাচ তুলে দিচ্ছেন এসএসবির ডিজি অর্চনা রামসুন্দরম। — নিজস্ব চিত্র
নেপাল ও ভুটানের সীমান্তে সুসংহত চেকপোস্ট তৈরি করবে এসএসবি। একই ছাদের তলায় শুল্ক দফতর, পুলিশ, অভিবাসন সব দফতর থাকবে। নিরাপত্তার দিক থেকে তাতে সুবিধে হবে, চোরাচালান রোধেও যৌথ পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে। সে কারণেই চেকপোস্টগুলিকে সুসংহত বলা হচ্ছে বলে এসএসবির তরফে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে এমনই জানিয়েছেন এসএসবির ডিরেক্টর জেনারেল অর্চনা রামসুন্দরম। এ দিন শিলিগুড়ির রানিডাঙ্গায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। এই ধরনের চেকপোস্ট তৈরি হলে তাতে সময় যেমন বাঁচবে, তেমনি নিরাপত্তার দিক থেকেও অনেক আঁটোসাঁটো হবে বলে এসএসবি-র দাবি করা হয়েছে।
এ দিন রানিডাঙ্গায় এসএসবির পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধীদের ট্রাই সাইকেল ও ক্রাচ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের আইজি কুলদীপ সিংহ, রানিডাঙ্গার পঞ্চায়েত প্রধান অণিমা সিংহ সহ অন্য এসএসবি কর্তারা। এসএসবি ভারত-নেপাল ও ভারত-ভুটান সীমান্তে সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট হলে তাতে এক ছাদের তলায় সমস্ত দফতরের কর্মীরা নজরদারির কাজ করতে পারবেন। এসএসবির সঙ্গে শুল্ক দফতর, পুলিশ, অভিবাসন দফতর একই জায়গায় থাকলে তাতে সময়ের সঙ্গে দ্রুত নিরাপত্তাও খতিয়ে দেখা ও প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতেও সুবিধা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এসএসবির ডিজি বলেন, ‘‘নেপাল ও ভুটানের সীমান্তগুলি দিয়ে এ দেশে আসার ব্যপারে যেহেতু নিষেধাজ্ঞা নেই, তাই দায়িত্ব অনেক বেশি। সে কারণেই সুসংহত চেকপোস্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের চারটি জায়গায় এই ধরনের চেকপোস্ট তৈরি করা হচ্ছে, পরের দফায় শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কি ও আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁতে আরও দুটি এই ধরণের চেকপোস্ট তৈরি করা হবে। বিহারের রকসোলে চেকপোস্ট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এরপরে যোগবাণী এবং উত্তরপ্রদেশের সুনৌলি এবং আরও একটি জায়গায় চেকপোস্ট তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়।
এ দিন পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের অভিযোগ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডিজি। কীভাবে এই সীমান্তে নিযুক্ত কর্মীরা আরও ভালভাবে কাজ করতে পারবেন তার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে ডিজি জানিয়েছেন। আগামী জুলাইয়ে দু’সপ্তাহের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জাল টাকা, মাদক চোরাচালান, বন সুরক্ষা, নারী পাচার বিষয়ে আরও ভালভাবে এসএসবি কর্মীদের প্রশিক্ষিত করে তোলা হবে। তিনি নিজেও আগামী বৃহস্পতিবার পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে যাবেন বলে জানান ডিজি। তিনি বলেন, ‘‘নানা সময়ে চোরাচালানের অভিযোগ শোনা যায়। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার হলে তা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy