—প্রতীকী চিত্র।
উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সব ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে রাজ্যের শাসক দল। কোচবিহারের সিতাইয়ে কাকে প্রার্থী করা হতে পারে, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা চলছে। নবীনদের মধ্যে থেকে কাউকে প্রার্থী করা হবে, নাকি প্রবীণ কাউকে দেওয়া হবে টিকিট— তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনায় উঠে আসছে মহিলাদেরও নামও।
সূত্রের দাবি, শাসক দলের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা নিজেদের পছন্দের লোককে প্রার্থী করতে ‘মরিয়া’ হয়ে উঠেছেন। যদিও প্রকাশ্যে এ কথা কেউ মানতে চাননি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘সিতাই বিধানসভায় এ বার আমাদের প্রার্থী রেকর্ড ভোটে জয়ী হবেন। দল যাঁকে প্রার্থী করবে, তাঁকেই আমরা রেকর্ড ভোটে জয়ী করব।’’ একই কথা দলের দুই প্রবীণ নেতা—উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষেরও।
কোচবিহারের সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। তিনি এ বার কোচবিহার থেকে লোকসভা ভোটে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন। সিতাই কেন্দ্র থেকে পর পর দু’বার বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন জগদীশ। দলের একটি অংশ মনে করছে, এ বার সিতাই কেন্দ্রের প্রার্থী নির্বাচনে জগদীশের কথাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিতে পারে দল। তাঁর ঘনিষ্ঠ কাউকে প্রার্থী করা হতে পারে বলেও দলে চর্চা রয়েছে। দলের অন্দরের খবর, জেলা তৃণমূলের কয়েক জন শীর্ষ স্তরের নেতাও সিতাইয়ের টিকিট পাওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু’জন প্রবীণ এবং এক জন নবীন নেতাও রয়েছেন। যাঁরা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে প্রার্থী হওয়ার জন্য ‘দরবার’ করেছেন। কিন্তু তাঁরা প্রত্যেকেই সিতাই বিধানসভা এলাকার বাইরের লোক। সে বিষয়ে দু’রকম বক্তব্য উঠে আসছে। এক অংশ মনে করছেন, সিতাই বিধানসভা এলাকার কাউকে প্রার্থী করা হলে দলের প্রার্থী রেকর্ড ভোটে জয়ী হবেন। অন্য অংশ মনে করছে, উপনির্বাচনে দল জয়ী হবেই, সেটাই স্বাভাবিক। সেখানে শীর্ষ নেতাদের কাউকে বিধায়ক হিসেবে পাওয়া গেলে তা দলের পক্ষে ভাল হবে।
কোচবিহারের সাংসদ জগদীশ বলেন, ‘‘সিতাইয়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। প্রার্থী নির্বাচন করবে দল। আমরা প্রচারের কাজ শুরু করে দিয়েছি।’’
সিতাইয়ে রাজ্যের শাসক দল কাকে প্রার্থী করবে, তা নিয়ে ভাবতে রাজি নয় বিজেপি। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘তৃণমূল কাকে প্রার্থী করবে সেটা তাদের দলীয় বিষয়। কিন্তু এটা বলতে পারি, যদি স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট হয়, মানুষ ভোট দিতে পারেন, তা হলে উপনির্বাচনে তৃণমূল পরাজিত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy