Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Amit Sha

অনন্ত-অমিতের সাক্ষাতে জল্পনা

বিমল বিজেপি-সংস্রব ত্যাগ করার ঘোষণা করার পরেই হঠাৎ করে অনন্তের সঙ্গে অমিতের সাক্ষাৎ ঘিরে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।

অনন্ত রায়।ফাইল চিত্র।

অনন্ত রায়।ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৩১
Share: Save:

কলকাতায় বিমল গুরুংয়ের উদয়ের একদিনের মাথায় দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা গেল গ্রেটার কোচবিহার পিপল্‌স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত রায়কে (মহারাজ)। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক।

বিমল বিজেপি-সংস্রব ত্যাগ করার ঘোষণা করার পরেই হঠাৎ করে অনন্তের সঙ্গে অমিতের সাক্ষাৎ ঘিরে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই মনে করছেন, বিমল সরে যাওয়ার পর অনন্তও যাতে কোনও ভাবে হাতছাড়া না হয়, তা নিশ্চিত করতেই তড়িঘড়ি সপ্তমীর দিন দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় অনন্তকে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অনন্তের কী কথাবার্তা হয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের বড় অংশে রাজবংশী ভোটব্যাঙ্কের উপরে অনন্তের যথেষ্ট প্রভাব। দল মনে করে, উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভাল ফলের পিছনে অবদান রয়েছে অনন্তের। রাজনৈতিক পর্য়বেক্ষকরা মনে করছেন, গুরুংয়ের পরে সেই মহারাজের যাতে অবস্থান বদল না হয় সে জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে বিজেপি। তাই সপ্তমী পুজোর দিনই অনন্তের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা। গ্রেটারের সংগঠন অবশ্য জানিয়েছে, রাজবংশীদের নানা দাবি নিয়েই অমিতের সঙ্গে দেখা করেন অনন্ত।

সেখানে উপস্থিত সাংসদ নিশীথ বলেন, “রাজবংশী মানুষের উপরে নানা অত্যাচার হচ্ছে। একজন বিধায়ককে পর্যন্ত খুন করা হয়েছে। সেসব নিয়েই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তাঁরা।” অনন্তকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনন্ত আদতে দিনহাটার গোসানিমারির বাসিন্দা হলেও চাকরি সূত্রে অসমে থাকতেন। পরে কোচবিহার শহরের কাছেই চকচকায় নিজের বিশাল বাড়ি তৈরি করেন। সেখানেই থাকতেন। পরে তাঁর নামে একাধিক ফৌজদারি মামলা হয়। তিনি ফের অসমে ফিরে যান। এখন অনন্ত জামিনে রয়েছেন।

অনন্তের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কও কয়েক বছরের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একাধিক সভায় তাঁকে দেখা গিয়েছে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে শিলিগুড়িতে মোদীর জনসভায় দেখা যায় তাঁকে। কোচবিহারের ৯টি বিধানসভা তো বটেই, উত্তরবঙ্গের ২৫টির বেশি বিধানসভায় রাজবংশী প্রভাব রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে আটটির মধ্যে সাতটি আসন পায় বিজেপি। তৃণমূল একটিও পায়নি। তার পর থেকেই রাজবংশী ভোটারদের কাছে টানতে জোর দেয় তৃণমূল। গ্রেটারের আরেক নেতা বংশীবদন বর্মণ মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তিনি রাজবংশী উন্নয়ন পর্ষদ এবং রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন। এই অবস্থায় অনন্ত যে বিজেপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা মনে করছেন অনেকেই। তাই এখন অনন্তকে কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে চাইছে না বিজেপি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “জাতপাতের রাজনীতি বিজেপি করছে। তা করে কোনও লাভ হবে না।”

অন্য বিষয়গুলি:

Amit Sha Ananta Roy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy