শুভ্র: সিকিমের ছাঙ্গুতে তুষারপাত। নিজস্ব চিত্র
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কিছুটা দুর্বল হয়ে উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও লাগোয়া সমতলের আকাশ থেকে সরতে শুরু করেছে পূর্ব দিকে। তাই আপাতত দার্জিলিং শহর ও গ্যাংটকে তুষারপাতের সম্ভাবনা প্রায় নেই, এমনই বার্তা দিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রকের সিকিম শাখা। তবে ঝঞ্ঝা ও স্থানীয় নিম্নচাপের প্রভাবে বুধবার দুপুরে দার্জিলিং শহর, সিকিমের গ্যাংটক সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রকের সিকিম শাখার অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে যে ঝঞ্ঝার প্রভাবে পাহাড়ে, দার্জিলিং শহরে তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল তা আর নেই। কারণ, ঝঞ্ঝা ক্রমশ পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে। নতুন করে আরেকটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হাজির হলে তখন পাহাড়ের শহর এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।’’ তিনি জানান, আপাতত ছাঙ্গু-নাথুলা ও অপেক্ষাকৃত উঁচু পাহাড়ি এলাকায় অল্প তুষারপাত চলবে।
বুধবার শিলিগুড়িতে সকালের দিকে আকাশ কিছুটা মেঘলা ছিল। দুপুরে দিকে মেঘ কেটে যায়। বিকেল গড়াতে তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৬ ডিগ্রিতে নেমে যায়। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক রঞ্জন রায় বলেন, ‘‘পশ্চিম হিমালয়ে আরও একটি ঝঞ্ঝা ক্রমশ সক্রিয় হচ্ছে। সেই প্রভাবে সেখানে বৃষ্টি হবে। তুষারপাতও চলবে। দু’তিনদিনের মধ্যে নতুন ঝঞ্ঝাটি উত্তরবঙ্গের আকাশে সক্রিয় হলে আরও জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা পড়বে।’’
জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে দিনে কিছুটা গরম অনুভূত হলেও বিকেল গড়াতেই বেশ ঠাণ্ডা পড়ছে। দিনে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও সন্ধ্যার পরে কনকনে বাতাস বইছে সমতলে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকিম ও হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। তার প্রভাবেই সমতলেও রাতে হাড় হিম করা বাতাস বইছে। আগামী ১২ ও ১৩ জানুয়ারি শৈত্য প্রবাহ প্রবল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy