ছবি : সংগৃহীত।
হাসপাতালে গিয়েছিলেন গলা ব্যথার চিকিৎসা করাতে। বদলে যা জানলেন, তাতে জীবনটাই বদলে গেল ২০ বছরের তরুণীর। হাসপাতাল থেকে তাঁকে বলা হল, এক সঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন তিনি।
২০ বছরের ওই তরুণী পেশায় এক জন সহকারী নার্স। নাম ক্যাটেলিন ইয়েটস। আমেরিকার ইলিনয়ের বাসিন্দা ক্যাটলিন জানিয়েছেন, নাছোড় গলাব্যথায় অতীষ্ট হয়েই গত ১ এপ্রিল হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসক তাঁকে প্রথমে গলার এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে এক্স বিকীরণ যাতে সম্ভাব্য গর্ভাবস্থার ক্ষতি না করে, সে জন্য ক্যাটেলিন অন্তঃসত্ত্বা কি না তা-ও পরীক্ষা করে দেখে নিতে বলেন। সেই পরীক্ষার ফল দেখেই চমকে যান ক্যাটেলিন। হাসপাতাল থেকে তাঁকে বলা হয়, তাঁর হিউম্যান কোরিয়োনিক গোনাডোট্রপিন বা এইচসিজি হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি। যা থেকে স্পষ্ট, ক্যাটেলিনের গর্ভে একাধিক সন্তানের ভ্রুণ রয়েছে।
যেহেতু তারিখটা ছিল ১ এপ্রিল, ক্যাটেলিন প্রথমে ভেবেছিলেন, চিকিৎসক হয়তো তাঁর সঙ্গে ঠাট্টা করছেন। তবে ক্যাটেলিনের হবু স্বামী জুলিয়েন বুকার খবরটা শোনা মাত্র আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। গত ১৭ অক্টোবর চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ক্যাটেলিন। মা হওয়ার পরে এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। ক্যাটেলিন বলেছেন, এপ্রিল থেকে অক্টোবরের ওই সফর সহজ ছিল না। নানারকম শারীরিক জটিলতার জন্য পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়েছে বেশ কয়েক বার। সময়ের আগেই অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করাতে হয় ক্যাটেলিনের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চার সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে পেরে খুশি তিনি।
ক্যাটলিন তাঁর চার সন্তানের নামও দিয়ে দিয়েছেন। এলিজ়াবেথ টেলর, জিয়া গ্রেস, ম্যাক্স অ্যাশটন এবং এলিয়ট রাইকার। এদের মধ্যে এলিজ়াবেথের ওজন সবচেয়ে কম— ১ পাউন্ড ২ আউন্স। ম্যাক্সের ওজন সবচেয়ে বেশি ২ পাউন্ড ৬ আউন্স। এদের মধ্যে ম্যাক্স আর এলিয়টকে দেখতে হয়েছে এক রকম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, চারজনেই সুস্থ রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy