Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

এসজেডিএ নজর দেবে সংস্কারেও

আপাতত ঠিক হয়েছে, শহরের দোকান সংস্কার করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে লিখিতভাবে জানাতে হবে দোকানের মাপ এবং উচ্চতার তথ্য।

গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র

গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০১:৩৭
Share: Save:

লিখিত আবেদন করে দোকান সংস্কারের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তারপরে নতুন কাঠামোয় উচ্চতা ১-২ ফুট বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। আবার কখনও রাতারাতি দোতলা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। দোকানের অস্থায়ী কাঠামো সংস্কারের সময়ে কংক্রিটের ব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনই একাধিক অভিযোগের পরে দোকান সংস্কারের অনুমতি নিয়ে নড়েচড়ে বসল শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ)। বিধান মার্কেটে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দেব প্রকাশ্যে সরব হতেই কড়া হতে চাইছে এসজেডিএ কর্তৃপক্ষও।

সরকারি সূত্রের খবর, বিধান মার্কেট থেকে নিবেদিতা মার্কেট, হর্কাস কর্নার বা জংশন, মাল্লাগুড়ি বাজার, ডিআই ফান্ড মার্কেট বা হায়দারপাড়া বাজার ছাড়াও অন্য বাজারগুলোয় দোকানের উচ্চতাতে নজর রাখতে চাইছে এসজেডিএ। প্রয়োজনে পুরসভা বা জেলা প্রশাসনের এক্তিয়ারভুক্ত বাজারেও আলোচনা করে নিয়ম কার্যকর করার কথা ভাবা হয়েছে। আপাতত ঠিক হয়েছে, শহরের দোকান সংস্কার করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে লিখিতভাবে জানাতে হবে দোকানের মাপ এবং উচ্চতার তথ্য। তা খতিয়ে দেখে মিলবে সংস্কারের ছাড়পত্র। বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করে শিলিগুড়ি শহরে নিয়ম চালু করতে চায় কর্তৃপক্ষ।

গত সপ্তাহে মন্ত্রীর উদ্যোগে দীনবন্ধু মঞ্চে একটি নাগরিক কনভেনশন হয়েছে। সেখানে একাধিক বাসিন্দার পাশাপাশি বিধান মার্কেট এলাকার কাউন্সিলর নান্টু পালও ওই প্রস্তাব দেন। তা নিয়ে এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মণ বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছিলেন। এ বার আলোচনা করে নতুন নীতি ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক (সিইও) এস পুন্নমবলম।

তিনি বলেন, ‘‘শুধুমাত্র দোকান সংস্কারের আবেদন করে বেশ কয়েকটি বেআইনি কাজের অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন বাজারে তা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে বলা হচ্ছে, নতুন উচ্চতা আগেই ছিল। সেটাই সংস্কার করা হয়েছে। এই কাজ বন্ধ করতে হবে।’’ তিনি জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সুষ্ঠু নীতি তৈরি করছি।

কী ভাবে হবে ওই ব্যবস্থা? এসজেডিএ-র অফিসারেরা জানাচ্ছেন, পুরোপুরি বেআইনি নির্মাণ হলে নোটিস পাঠিয়ে তা ভাঙানো হবে। আর আবেদনপত্রের মাপের সঙ্গে সংস্কারের পরের মাপের মিল না থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথমে নোটিস পাঠান হবে, তারপরেও ব্যবস্থা না হলে নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে। পুরসভাকে বিষয়টি জানিয়ে রাখা হবে বলে জানান তিনি। তবে পুরনো যে ক’টি সংস্কারের কাজে গরমিল রয়েছে বলে অভিযোগ, সেগুলো নিয়ে ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে কথা বলে এগানো হবে।

ইতিমধ্যে বেআইনি নির্মাণকে ঘিরে কাউন্সিলরদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে। বিশেষ করে বিধান মার্কেটের ঘটনার পরে তা সামনে এসেছে। এক্ষেত্রে এসজেডিএ-র কাছে প্রস্তাব রয়েছে, আবেদনকারী দোকানকে কী উচ্চতা বা মাপের মধ্যে থেকে সংস্কারের অনুমতি দেওয়া হবে তার প্রতিলিপি স্থানীয় কাউন্সিলর এবং পুরসভাকে জানিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তাঁরাও নজরদারি করতে পারবেন।

অন্য বিষয়গুলি:

SJDA Goutam Deb TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy