Advertisement
E-Paper

সিকিমে ফুঁসছে তিস্তা, সতর্ক সেনা

গত অক্টোবর মাসে তিস্তায় হড়পা বানে বারদাং এবং মুনসি‌থাং এলাকায় সেনা ছাউনি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল। সিকিম থেকে ডুয়ার্স হয়ে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলা অবধি তিস্তা এবং তিস্তার অববাহিকা জুড়ে ভেসে গিয়েছিল সেনার বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র।

গত অক্টোবর মাসে তিস্তায় হড়পা বান।

গত অক্টোবর মাসে তিস্তায় হড়পা বান। —ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৪ ০৯:১০
Share
Save

সিকিমে টানা বৃষ্টিতে জল বাড়ছে তিস্তা নদীতে। উত্তরের দিকে কয়েক জায়গায় রীতি মতো ফুঁসছে তিস্তা। শুক্রবার থেকে উত্তর সিকিমের একটি বড় অংশ বিপর্যস্ত। বন্ধ হয়ে পড়েছে রাস্তা। শনিবার সকালে কিছু এলাকায় তিস্তার জল উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে ওঠায় সেনাবাহিনীর তরফে প্রতিটি ইউনিটকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে, গজলডোবার তিস্তা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষকেও। সেখান থেকে এ দিন অবশ্য জল ক্যানালে ছাড়া হয়েছে।

গত অক্টোবর মাসে তিস্তায় হড়পা বানে বারদাং এবং মুনসি‌থাং এলাকায় সেনা ছাউনি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল। সিকিম থেকে ডুয়ার্স হয়ে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলা অবধি তিস্তা এবং তিস্তার অববাহিকা জুড়ে ভেসে গিয়েছিল সেনার বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র। তাই এ বার তিস্তা ফুঁসতেই সতর্ক সেনা।

সিকিমে সেনা নজরদারির মধ্যে চুংথাং থেকে লাচুংগামী রাস্তা একাধিক জায়গায় ধসে বন্ধ হয়ে যায়। কাদামাটিতে বসে গিয়েছে কয়েক জায়গায় রাস্তা। একটি ছোট গাড়ি কাদামাটিতে পুরোপুরি ঢুকে যায়। তবে যাত্রীরা সুরক্ষিত আছেন। দুপুরের মধ্যে ২২০টি পর্যটকদের গাড়ি লাচুংয়ে আটকে পড়ে। বিকেলের পরে রাস্তা খুলে একমুখী গাড়ি চলতে থাকে। চুংথাং-লাচুং রাস্তা ভারী গাড়ির জন্য বন্ধ হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পর্যটকদের লাচুং যাওয়ার পারমিট বন্ধের কথা জানানো হয়েছে। চুংথাংয়ের মহকুমাশাসক কিরণ কুমার বলেছেন, ‘‘রাস্তার অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত জানানো হচ্ছে। চুংথাংয়ের টুং-নাগা রোড ৫ থেকে ১৫ জুন অবধি প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা অবধি সংস্কারের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে।

সিকিম প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন সকালে সংকলন সেতুতে তিস্তার জল উঠে পড়ে। একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কালিম্পং জেলার তিস্তার কিছু এলাকায়। গত শুক্রবারই এলাকায় ঘুরে বাঁধের কাজ দ্রুত শেষ করার কথা বলেছেন ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ( প্রধান অনীত থাপা। সকাল থেকে জল দেখে সেনাবাহিনীর তরফে প্রত্যেক ইউনিটকে সতর্ক করা হয়। দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলছে সেনা বাহিনী।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

sikkim Indian Army

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}