প্রতীকী ছবি।
স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসক হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। শেষে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে এক চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন দম্পতি। তাঁর চেষ্টায় গর্ভাসঞ্চারের ২৮ সপ্তাহ পরে একসঙ্গে তিন শিশুকন্যার জন্ম দিলেন কিসানগঞ্জের বাসিন্দা কোহিনুর খাতুন। মঙ্গলবার নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি ও তাঁর সন্তানেরা।
কোহিনুরের স্বামী ইয়ামইয়াম হোসেন পেশায় গৃহশিক্ষক। তাঁদের বিয়ে হয়েছিল বছর দশেক আগে। সম্প্রতি টেস্টটিউব পদ্ধতিতে সন্তানসম্ভবা হন কোহিনুর। গর্ভসঞ্চারের ২৮ সপ্তাহ পরে প্রসব বেদনা শুরু হয় তাঁর।
পরিবার জানিয়েছে, প্রথমে ইসলামপুরে এক চিকিৎসককে দেখান ওই দম্পতি। সেখান থেকে কিসানগঞ্জে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নার্সিংহোমে আসেন তাঁরা।
চিকিৎসার মধ্যেই কোহিনুরের গর্ভের জল ভাঙতে শুরু করায় চিকিৎসক চিন্তিত হয়ে পড়েন। তাঁর পরামর্শেই শিলিগুড়ি আসেন ওই দম্পতি। পাকুড়তলার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হল কোহিনুর। ইয়ামইয়াম হোসেন জানান, তাঁর মোটা টাকা খরচের সামর্থ্য নেই। তা শুনে সাহায্যের আশ্বাস দেয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। ২৩ জুলাই তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন কোহিনুর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিন সদ্যোজাতের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ছিল। চিকিৎসক গোষ্ঠবিহারী দাস বলেন, ‘‘দু’জনের ওজন ছিল ১ কিলোগ্রাম করে, আর এক জনের ৬৭০ গ্রাম।’’
শিশু বিশেষজ্ঞ গোপাল খেমকা বলেন, ‘‘এ ধরনের শিশুকে বাঁচানো বড় চ্যালেঞ্জের। ফুসফুস, মস্তিষ্ক সুগঠিত হয় না। শ্বাসকষ্ট বা ‘অ্যাপনিয়া’ হয়। তবে ওদের দেখভাল হয়েছে। দুধ খাচ্ছে। এখন ওরা অনেকটাই ভাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy