জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চ।—ফাইল চিত্র।
সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনে ভিভিআইপিদের আসা ঘিরে ব্যস্ততার আঁচ পড়ল শিলিগুড়িতেও। বিচারপতিরা তো বটেই মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্য মন্ত্রী, আমলারাও শুক্রবারই পৌঁছে যাবেন শিলিগুড়ি। কেউ বাগডোগরা বিমানবন্দর আবার কেউ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে পৌঁছবেন শিলিগুড়ি। তারপরে সেখান থেকে পরপর বিভিন্ন গাড়ির কনভয় পৌঁছবে জলপাইগুড়ি।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে প্রায় ৩০০ গাড়ি জোগাড় করতে হিমসিম খেয়েছে জলপাইগুড়ি প্রশাসন। বুধবার শিলিগুড়ি ট্রাফিক পুলিশের কাছে নির্দেশ আসে মুখ্যমন্ত্রী ও বিচারকদের জরুরি প্রয়োজনের জন্য আরও ৫০টি বিলাসবহুল গাড়ি তৈরি রাখতে হবে। সেগুলোকে যে কোনও সময় এনজেপি, বিমানবন্দর বা কোনও নির্দিষ্ট স্থানে যেতে হতে পারে। এর জন্য বুধবার সকাল থেকেই শিলিগুড়ি পুলিশের অফিসারেরা গাড়ি ধরতে শুরু করেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, গাড়িগুলোকে বুধবার থেকেই সিজারলিস্ট ধরিয়ে প্রশাসনের অধীনে রাখা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ১৫টি গাড়িকে আলাদা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে থাকতে হতে পারে বলে রাখা হয়েছে। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সড়কে এ দিন থেকেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে নজরদারি শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রতিনিধি এলে তাঁদের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। শিলিগুড়ির একাধিক সরকারি অতিথি নিবাস, তারকা খচিত হোটেলকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
শিলিগুড়ি পুলিশের এক কর্তা জানান, সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনকে ঘিরে জলপাইগুড়িতে কর্মযজ্ঞ চলছে। অতিথিদের থাকা, যাতায়াতের জন্য শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে। ৩০০ জন বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে ৬৫ জন বিচারপতির আসার কথা। সেই কথা মাথায় রেখে সব ধরনের সরকারি বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় শিলিগুড়িতে অতিরিক্ত গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, বিমানবন্দর থেকে এশিয়ান হাইওয়ে ধরে বাগডোগরা, শিবমন্দির, মেডিক্যাল মোড় হয়ে নৌকাঘাট পর্যন্ত রুট তৈরি রাখা হয়েছে। ঘোষপুকুর থেকে ফুলবাড়ি হয়ে জলপাইগুড়ির রাস্তা এবং ৩১ জাতীয় সড়ক ধরে দার্জিলিং মোড় হয়ে বিকল্প দু’টি রুটও তৈরি হয়েছে। এনজেপি স্টেশন থেকে এশিয়ান হাইওয়ে ছাড়াও মহানন্দা ক্যানাল রোড ধরে জলপাইগুড়ি যাওয়ার রাস্তাও বাছা হয়েছে। অফিসারেরা জানান, বিচারপতি ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীদের কনভয় সুষ্ঠুভাবে পার করানোর জন্য প্রতিটি থানা এলাকা ধরে ধরে আলাদা পুলিশ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা’র দফতর থেকে বিষয়টি দেখভাল করা হচ্ছে।
এশিয়ান হাইওয়ে ছাড়াও ফুলবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ির দিকে ইস্ট ওয়েস্ট হাইওয়ের কাজ চলছে। নজর রাখা হচ্ছে সেদিকে। ব্যস্ত রাস্তাগুলোয় বাস, ট্রাক বা গাড়ির জন্য হঠাৎ কোথাও যানজট বা সমস্যা দেখা দিলে আলাদা করে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ প্রস্তুত থাকছে। বিমানবন্দর, স্টেশনে থানা ও বিভিন্ন এজেন্সি মিলিয়ে আলাদা অফিসারেরা থাকবেন। থাকবেন প্রোটোকল অফিসারেরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy