—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পুলিশ ও প্রশাসনের যৌথ পরিদর্শনের পরে, বুধবার সিকিম ও কালিম্পংয়ের ‘লাইফলাইন’ বলে পরিচিত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক খোলার নির্দেশ এল। এ দিন দুপুরে কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালা সুব্রহ্মণ্যন টি এই রাস্তাটি খোলার বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সাধারণ গাড়ি, পর্যটকদের গাড়ি চলাচলে কোনও বাধা বা নিষেধ আর নেই। তবে বাস, ভারী বা পণ্যবাহী গাড়ির জন্য
কিছু নিয়ন্ত্রণ থাকছে।
এর মধ্যে কালিম্পং, সিকিমগামী বাস ওই রুটে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি চলবে। পণ্যবাহী গাড়ি এখনও লাভা, গরুবাথানের রাস্তায় চলবে। আর জাতীয় সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত লিকুভির এবং রবিঝোরা এলাকায় থাকছে ‘ওয়ান ওয়ে’ ট্র্যাফিক। কালিম্পঙের জেলাশাসক বলেন, ‘‘পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সব স্বাভাবিক থাকলে পরের দিকে বিধিনিষেধ
সরানো হবে।’’
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত ২১ মার্চের পর থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’টি অংশে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে পাথর পড়া শুরু করে। কয়েক জায়গায় ছোট ছোট ধসও নামতে থাকে। রাস্তা সাফাই করে চললেও ২৪ মার্চ জেলা প্রশাসন জাতীয় সড়কে চলাচল বন্ধ করে। ২৫ মার্চ প্রশাসন, পরিবহণ দফতর, পূর্ত দফতর, পুলিশ এবং দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের প্রতিনিধিরা জাতীয় সড়ক পরিদর্শন করেন। এ দিনও জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের তরফে সকালে রাস্তার অবস্থা দেখা হয়। তার পরেই দু’টি ক্ষতিগ্রস্ত অংশে একমুখী করে ছোট গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কয়েক বছর আগে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে গাডির উপর পাথর পড়ে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। তাই এ বার আর ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং, গ্যাংটকগামী গাড়ি আলগাড়া, লাভা এবং গরুবাথান হয়ে ঘুরিয়ে চালু হয়। উল্টো দিক থেকে একই পথে গাড়ি চলাচলের নির্দেশ জারি হয়। এ দিনের নির্দেশিকা অনুযায়ী চিত্রে, কালিম্পং টাউন, আলগাড়া, লাভা ও গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি রুটে পণ্যবাহী গাড়ি সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি চলবে। কিন্তু রেশি, পেডং, আলগাড়া, লাভা, গরুবাথান হয়ে চলাচলের রাস্তা পণ্যবাহী গাড়ির জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে। সেই সঙ্গে রংপো, চিত্রে এবং দার্জিলিং-কালিম্পং জেলার সীমানায় ট্র্যাফিক নজরদারি প্রশাসনের তরফে বাড়াতে বলা হয়েছে।
এর মধ্যেই দার্জিলিঙের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা জাতীয় সড়কের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসন এবং পূর্ত দফতরকে দুষেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ীকে এ দিন চিঠিও দেন। সাংসদের দাবি, দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রাস্তাটি রাজ্যের পূর্ত দফতরের হাত থেকে নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অধীনে কোনও সংস্থাকে দেওয়াটা জরুরি। গত অক্টোবরে তিস্তা নদীর জলস্ফীতিতে এই জাতীয় সড়কের বেশ কিছু এলাকা ভেসে গিয়েছিল। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর সংস্কার হয়েছে। বিদায়ী সাংসদের দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে রাস্তাটির দেখভালের দায়িত্বের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আবার বলেছি। নইলে, রাস্তাটি ঠিকঠাক রাখায়
সমস্যা চলবেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy