দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে চান সাবিনা। — ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে, উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর ‘দ্বন্দ্ব’ মেটাতে আসরে নামলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা সদ্য জেলায় তৃণমূলের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবিনা ইয়াসমিন। জেলায় দলের দেখভালের দায়িত্ব পাওয়ার পরে বুধবার জেলায় আসেন সাবিনা। পরে, তিনি রায়গঞ্জে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে দলের জেলা নেতৃত্ব ও বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে ওই বৈঠকে করিম গরহাজির ছিলেন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে সাবিনা দাবি করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় দলের ভাল ফল করার লক্ষ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দ্রুত কানাইয়ার সঙ্গে করিমের ‘দ্বন্দ্ব’ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরেই সাবিনা ভরা বৈঠকে কানাইয়াকে নিয়ে করিমের বাড়িতে যাওয়ার কথা জানান। পরে, সাবিনা বলেন, “আমি খুব তাড়াতাড়ি কানাইয়াদাকে নিয়ে করিমদার বাড়িতে গিয়ে খাওয়াদাওয়া করব।”
যদিও কানাইয়া বলেছেন, “সাবিনাদি আগে করিমদার বাড়িতে গিয়ে কী হয়, আমাকে জানান।” এই বিষয়ে সাবিনা ও কানাইয়ার নাম না করে করিমের বক্তব্য, “আমি আগে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে, কথা বলব। তার পরে এই বিষয়ে অন্য কারও সঙ্গে বসব।”
কিছু দিন আগে, ইসলামপুরের মাটিকুণ্ডায় এক সিভিক ভলান্টিয়ার খুন হন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কানাইয়ার সঙ্গে করিমের পুরনো ‘দ্বন্দ্ব’ নতুন করে ‘মাথা চাড়া’ দেয়। কানাইয়া ও তাঁর ঘনিষ্ঠ তথা ইসলামপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি জাকির হোসেনকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে অনুগামীদের নিয়ে রাস্তায় নেমে নিজেকে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক হিসেবে দাবি করেন করিম। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার কথাও বলেন। পরে, কলকাতায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে এড়ান করিম। এর পরেই করিমের মান ভাঙাতে তাঁকে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ফোন করেন বলে দলের অন্দরের খবর। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার করিম বলেছেন, “ফিরহাদের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। ফোনে কুশল বিনিময় হয়েছে। মাটিকুণ্ডার ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী-সহ সকলেই জানেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy